পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার বউবাজার এলাকা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেখানে চলছে মেট্রোর কাজ। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে সমানে চলেছে বিপত্তি। বউবাজারে একের পর এক বাড়ি ধসে পড়তে শুরু করে ২০১৯ সালে। মেট্রোর কাজের জন্য এই বিপর্যয় ঘটে। বর্তমানেও সেই বিপর্যয় মানুষের ঘুম কেড়েছে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি দেখা দিল? অনেকের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সত্যিই কি যথাযথভাবে মাটি পরীক্ষা করে বউবাজারে মেট্রোর কাজ হয়েছে, নাকি গলদ রয়েছে!
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয় একটি রিপোর্ট। অনেকেই বলছেন, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার শিকদার ও সুমন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই রিপোর্টকে যথাযথভাবে স্টাডি করেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে বউবাজারে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি।
জানা গিয়েছে, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার শিকদার ও সুমন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্টের সারাংশ হল, বউবাজারে মেট্রোর কাজ বিপজ্জনক। যে অংশ দিয়ে টানেল গিয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য অংশ বাছাই করা দরকার।
কেন্দ্রীয় সংস্থা জিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল এই রিপোর্ট। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের এই রিপোর্ট কি আদৌ দেখেছিল কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড?
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার শিকদার জানিয়েছেন, ‘মাটির নীচে কাজ করতে গেলে সেই এলাকার যাবতীয় রিপোর্ট হাত রাখা উচিত ছিল। কারণ কলকাতা শহরের মাটির চরিত্র আলাদা। কোথাও ১৪ মিটার থেকে ৫০ মিটার কাদা মাটি। কোথাও আবার কাদা মাটি নেই। আছে শুধুই বালি মাটি। এখানে বালি মাটির অংশে সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছিল। ফলে লুকনো জলস্তরে আঘাত আসতেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
এ দিকে কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর নরেশ চন্দ্র কারমালি জানিয়েছেন, ‘আমরা রেলের সংস্থা রাইটস, এর রিপোর্টের উপর নির্ভর করে কাজ করছি।’