পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুনের ঘটনার সঙ্গে দিল্লিতে নিক্কি যাদবের খুনের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন পুলিশ। দুটি ক্ষেত্রেই খুনের পর স্বাভাবিক দুই অভিযুক্ত। শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজারে রেখে নিশ্চিন্তেই ছিলেন অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা আর নিক্কি যাদবকে খুনের পরের দিন পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে নাচ-গান হৈ-হুল্লোড় সেরেছেন সাহিল গেহলট। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, নিক্কির মোবাইল, ফরেন্সিক তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির নজফগড়ের ধাবার মালিক সাহিল গেহলট গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাগদান পর্ব সারেন। অনুষ্ঠানের দিনই রাত ১ টা নাগাদ সাহিল তার ছোটভাইয়ের গাড়ি নিয়ে নিক্কির কাছে চলে আসেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল সাহিলের বিয়ে। ওইদিনই ভোর ৫টা নাগাদ গোয়া যাওয়ার জন্য দিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন দুজনে। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছে সাহিল জানান তার কাছে নিক্কির টিকিট নেই। তখন তারা দুজনে ঠিক করেন বাসে করে হিমাচল প্রদেশে যাবেন। বাসের টিকিটও না পেয়ে ফিরে আসেন তারা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সাহিল বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল নিক্কিকে।
বিয়ের দিন ১০ ফেব্রুয়ারি সাহিলকে বার বার তার বাড়ির লোক ফোন করতে থাকে। নিক্কি জানতে পারেন সাহিল তার পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করছেন। গাড়ির মধ্যেই দুজনের চরম অশান্তি শুরু হয়। সেই সময় গলায় মোবাইলের ডেটা কেবলের তার জড়িয়ে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাহিল। গাড়ির পিছনের খালি অংশে লাশ লুকিয়ে রেখে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাহিল। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নিক্কির দেহ বের করে অপর একটি গাড়িতে করে ধাবায় নিয়ে যান সাহিল।
প্রথমে সাহিলের পরিকল্পনা ছিল নিক্কির দেহ নদী বা খালে ভাসিয়ে দেওয়ার। পরে মত বদলে নিক্কির দেহ ধাবার ফ্রিজারে রেখে দেয়। নিক্কির ফোন থেকে সমস্ত মেসেজ মুছে দেওয়ার পাশাপাশি সে তার নিজের মোবাইলের ডিভাইস থেকে সমস্ত তথ্য ডিলিট করে দেয়। পুলিশ সেই মোবাইল ফোনটি থেকে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। মৃত্যুর চারদিন পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নিক্কির দেহ উদ্ধার হয় এক প্রতিবেশীর দায়ের করা নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে।