পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভ্যাকসিন নেওয়া যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,তা বারবারই বলে আসছে কেন্দ্রীয়স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারে সতর্ক করছেন আধিকারিকেরা। ফের একবার নীতি আয়োগের সদস্য ড.ভিকে পাল ব্যাখ্যা দিলেন,কেন ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন।তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নিলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে ৭৫ থেকে ৮০শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে,ভ্যাকসিন না নিলে অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে ৮০শতাংশ ক্ষেত্রে, ভ্যকসিন নিলে আইসিইউ-তে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে সব রাজ্যও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ৭মে-র পর থেকে ৮৫শতাংশ কমেছে সংক্রমণের হার। গতসপ্তাহে ৩০শতাংশ কমেছে সেই হার। প্রত্যেকদিনই একটু একটু করে সংক্রমণ কমছে ভারতে।
এদিকে ওয়ার্ল্ডহেলথ অর্গানাইজেশন (হু) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) যৌথভাবে পরিচালিত সর্বশেষ জাতীয় সেরো-সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে যে ১৮ বছরের বেশিবয়সী প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতে কোভিড -১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। সমীক্ষায় আরও জানা গেছে যে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে দেশে সেরোপোসিটিভিটি হার প্রায় একইরকম। নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পল ১৮ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে এক সাংবাদিকসম্মেলনে বলেন, “হু ও এইমসের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে সার্পোসিটিভিটি প্রায় সমান । ১৮ বছরের উপরে ব্যক্তিদের মধ্যেসেরোপোসিটিভিটি হার ৬৭ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ।শহরাঞ্চলে ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিদের মধ্যে এটি বর্তমানে ৫৭ শতাংশ এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ। ” “গ্রামীণ অঞ্চলে, সিরোপোসিটিভিটি হার ১৮ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ এবং ১৮ বছরের উপরে ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ।”
এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে,এঁদের অনেকেই হয়তো নিজেরঅজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন,আবার সেরেও উঠেছেন নিজে থেকেই।