পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মুসলিমদের মনে জায়গা করে নেওয়ার মহড়া শুরু করতে চলেছে বিজেপি। দেশের মুসলিম অধ্যুষিত লোকসভা আসনে বিজেপি মুসলমানদের ‘মোদি বন্ধু’ বানানোর কৌশল নিয়েছে। ঈদের পর এই প্রচার শুরু করবে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। এ জন্য দলটি মুসলিম এলাকা ও আসন চিহ্নিত করেছে। যেখানে মোদিকে মুসলিমদের কাছে টানতে হবে।
বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার দিল্লি অঞ্চলের ইনচার্জ আতিফ রশিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে, ‘আমরা সারা দেশে মুসলিমদের সঙ্গে জনসংযোগ প্রচার শুরু করছি। যাতে মুসলমানরাও দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ‘গাঁও-গাঁও ঘর-ঘর’ চলো ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে, যার মাধ্যমে মোদি সরকারের নীতি, পরিকল্পনা ও কাজ সম্পর্কে মুসলমানদের জানানো হচ্ছে। এর সঙ্গে, মুসলমানদের ‘মোদি বন্ধু’ বানানোর একটি কৌশলও তৈরি করা হয়েছে, যাতে সমস্ত স্তরের মুসলমানদের মন জয়ের চেষ্টা করা হবে।
আতিফ রশিদ বলেছেন, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বিজেপির কাছে টানা হবে। যারা বিজেপি, কংগ্রেস বাঅন্য কোনও দলের সদস্য নন, তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি দ্বারা প্রভাবিত। বিজেপির ভাবনায় এমন মানুষ পাওয়া যাবে প্রতি এলাকায় ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ।এই মুসলমানদের ‘মোদি বন্ধু’ বানানোর কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন তাঁরা। এ জন্য বিজেপি সেসব জায়গা চিহ্নিত করেছে যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি। আতিফ রশিদ আরও বলেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ৬৫টি লোকসভা আসন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে ৩০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম ভোটার রয়েছে। এই লোকসভা আসনগুলিতে ৫ হাজার মুসলিমকে অনুসন্ধান করা হবে, যারা লোকসভা ভোটে প্রভাব ফেলবে। তবে এমন কিছু লোক থাকবেন যারা মোদি সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন বা প্রধানমন্ত্রীর কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।
মুসলমানদের মধ্যে যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, অধ্যাপক তাঁদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। এই ব্যক্তিরা রাজনৈতিক কর্মী হলে বহু মানুষকেপ্রভাবিত করতে পারবেন। এদের কেই বেছে বেছে মোদি বন্ধু করা হবে। ‘মোদি বন্ধুরা’ মোদি সরকারের বার্তা এবং নীতিগুলি মুসলমানদের মধ্যে আরও ভালভাবে পৌঁছে দেবে।
মোদি প্রতিটি লোকসভায় মুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন এবং তারপরে প্রতিটি লোকসভা আসনে তাঁর সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে মুসলমানদের জনসংখ্যা ১৪ শতাংশ, যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে বিজেপি মুসলমানদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু মুসলমানদের হৃদয়-মন এখনও গলেনি।
বিজেপি এটা খুব ভালো করেই জানে যে এই সম্প্রদায়কে যদি নিজের সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তাহলে তার সামনের পথ সহজ হয়ে যাবে। তাই বিজেপি মুসলমানদের মনে জায়গা করে নিতে নানাভাবে কাজ করছে।