পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতাদের সামনেই দলীয় কোন্দল থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির কর্মীরা। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক কর্মিসভায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনেই চলল হাতাহাতি থেকে মারামারি। এমনকী জেলাস্তরের বিজেপি নেতাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাটিতে ফেলেও চলে মারধর। দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক স্লোগান’। পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও। দিলীপ ঘোষ হুমকি দেন, বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত না হলে তিনি লাঠিচার্জ করাবেন। বিক্ষোভকারীরাও তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সভাস্থল থেকে হটিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
শুক্রবার, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে ঘিরে। বিক্ষুব্ধ বিজেপিকর্মীদের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বিজেপির জেলা সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে সরানোর দাবি উঠলেও, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এদিন দাঁইহাটে সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেয় বিজেপি। সেখানে আসার কথা ছিল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
সূত্রের খবর, এই দুই নেতার আসার আগেই, সভাস্থলে ঢুকে পড়ে ৩০-৩৫ একদল বিজেপি কর্মী। এরপরেই শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে হাতাহাতি, মারধর।
জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষকে মারধর করা হয়। মারতে মারতে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি আনন্দ রায়কে। পরে পরিস্থিতি সামলায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের গেট দিয়ে বের করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ক্ষমতায় আসবে এই ভেবে অনেকে এসেছিল। তারাই এসব করছে।’
গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, ‘তৃণমূল এগুলো করিয়েছে। বিজেপির কেউ থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই’।