কৌশিক সালুই, বীরভূমঃ দলের কর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে খুন হলেন বিজেপির এক নেতা বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোল থানা এলাকায়। যদিও বিজেপির অভিযোগ বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় বলি হয়েছেন তাদের কর্মী এবং সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ওই বিজেপি কর্মী ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তি হলেন ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর, বয়স ৩৯ বছর। বাড়ি কাঁকরতলা থানার হযরতপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে কাঁকরতলা থানার বিশ্বরূপতলা এলাকায় একটি গাছ থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় গলায় দড়ি দিয়ে টাঙানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। দিন তিনেক আগে অভিযোগ ইন্দ্রজিৎ বিজেপির এক কর্মীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। গত সোমবার কাঁকরতলা থানার হস্তক্ষেপে তারা বাড়ি ফিরে আসে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলের কর্মী স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে ছিলেন বিজেপির ওই নেতা। মৃত ব্যক্তির বাবা রঘুনাথ সূত্রধর বিজেপি কর্মী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন,” রাজ্যজুড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে বিজেপি কর্মীদের নিধন যজ্ঞ শুরু করেছে তার মধ্যে এটা যোগ হল। পূর্বের মত একই কায়দায় হাত বেঁধে গলায় দড়ি দিয়ে তা নিয়ে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রকৃত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং তা না হলে বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা”। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,” ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। যেখানে দলীয় কর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে খুন হয়েছেন তাদেরই দলের কর্মী। সেখানে মিথ্যা ভাবে শাসক দলের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দাবি করছি পুলিশ প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক”।
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন,” কোনও রাজনৈতিক কারণে নয় পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এক গৃহবধু ও তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে”।