আইভি আদক, হাওড়া: জটু লাহিড়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, চূড়ান্ত বিপরীত রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যেও শিবপুর থেকে দোন্ডর্পপ্রতাপ সিপিএমের সামনেও তিনি বারবার জয়ী হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তিনি ছিলেন। মানুষও তাঁর সঙ্গে ছিল। আজকে নি:সন্দেহে একজন প্রবীণ মানুষ যারা হাওড়ার জনজীবনকে শরীর দিয়ে মনন দিয়ে স্পর্শ করেছিলেন তিনি চলে গেলেন। হাওড়ার রাজনীতির একটা যুগের অবসান হয়ে গেল। রাজনীতি একটা বহমানতা। জটু লাহিড়ী কিছু পাবার আশায় বিজেপিতে যাননি।
গত প্রায় এক মাস যাবৎ তিনি বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। তিনি শিবপুর কেন্দ্র থেকে মোট পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন। রাজ্য বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রথমে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং পরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তিনি যথাক্রমে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১১ ও ২০১৬ সালে শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।২০২১এ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জটু লাহিড়ী। তিনি বিজেপিতে টিকিট না পেলেও রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান। ২০২১এ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় জটু লাহিড়ী দলের প্রতীকে টিকিট পাননি। তারপরেই বিদ্রোহী হয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। জটু লাহিড়ী তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দু’বার কংগ্রেসের প্রতীকে ও তিন বার জোড়াফুলের প্রতীকে বিধায়ক হয়েছিলেন। জটুবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে আগেই প্রয়াত হন। বর্তমানে তাঁর ছেলে ও পরিবার রয়েছে। জটুবাবুর কন্যা প্রয়াত মুনমুন লাহিড়ী ছিলেন হাওড়া পুরসভার ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।