পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমালোচকরা বলে থাকেন, দেশে বিজেপির আমলে মুসলিমরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়লেও, দাঙ্গার শিকার হলেও বিদেশের মাটিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের সঙ্গে বেশ ভালোই দহরম-মহরম দেখান। আমিরাতে আরবি ভাষণ দিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন মোদি। জড়িয়ে ধরেছেন আরব আমিরাতের আল নাহিয়ানকে। উদ্বোধন করেছেন মোদি। সেখান থেকে বুধবার রাতে মোদি উড়ে এসেছেন কাতারে। ঘটনাচক্রে এই সফরের আগেই কাতারে আটক ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌসেনাকে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। ইসরাইলের মোসাদের হয়ে এই সেনারা গুপ্তচরবৃত্তি করছিল বলে অভিযোগ ছিল এবং সেজন্য তাদের মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনাকে মোদি-জয়শঙ্করের বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ঠিক মোক্ষম মুহূর্তে দোহায় গিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে মোলাকাত করলেন মোদি। এতে দু-দেশের আন্তঃসম্পর্ক আরও জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গেও। এরপর এদিন মোদি বলেন, ভারত ও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে দিনকেদিন। উভয় পক্ষই বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা ও উন্নয়নের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপ্লুত মোদি, টুইট করে জানিয়েছেন সে-কথাও।
২০১৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটি দ্বিতীয় কাতার সফর। তেলসমৃদ্ধ দেশটি অত্যন্ত ধনী। বহু প্রবাসী ভারতীয়র রুটিরুজির জোগান দেয় এই দেশ। আরবি শিখে অনেকে সেখানে কাজ করতে যায়। তাই কাতারের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক শক্তিশালী করবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এদিন দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাতারের আমির ও মোদির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রক। দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, অর্থ ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।