তিরুবন্তপুরম, ৪ ফেব্রুয়ারি: কেরলের কোঝিকোড়েতে যুব সম্মেলনের বত্তৃতা শেষে ভারত মাতার নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। সভায় উপস্থিত সকলকে তিনি ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে চাঙ্গা করা চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সুরে সুর মিলিয়ে অনেকেই তা বলছিল না। মন্ত্রী বুঝছিলেন সকলে মিলে প্রত্যুত্তর দিচ্ছে না। ফলে মঞ্চে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। কোঝিকোড়ের ওই যুব সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এক অ-বামপন্থী সংগঠন। তাতেই মন্ত্রী ভরসা করেছিলেন যে সকলেই তাদের সুরে সুর মেলাবেন। হলের একদিক থেকে জোরে ‘ভারত মাতা কি জয়’ আওয়াজ এলেও, অন্য দিক থেকে খুব দুর্বলভাবে সেই শধ আসে। বারবার বলেও লাভ হয়নি। ‘অমৃতকালে’ গেরুয়া যুব সম্মলেন যে তাঁর নির্দেশের পরেও অনেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে চাইবেন না, তা ভাবতে পারেননি মীনাক্ষী। ফলে ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। নিজে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিয়ে হলের কোনখান থেকে খুব দুর্বলভাবে আওয়াজ আসছে তা কান পেতে শোনেন মীনাক্ষী।
শ্রোতাদের একটি অংশের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখনও হাতে হাত রেখে বসে আছেন? কী প্রবলেম ? কোনও সমস্যা আছে?’
ভিড়ের মধ্যে এক তরুণীকে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। হলুদ পোশাক পরা এক তরুণীকে দাঁড়াতে বলেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, এদিক ওদিক দেখতে হবে না। আপনাকে আমি সবার সামনে একটা প্রশ্ন করব, ‘ভারত আপনার মা নয়?’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তোমার এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত। যে ভারতকে নিয়ে গর্ববোধ করে না, যার ভারতের কথা বলতে লজ্জা হয়, তার এই যুব সম্মেলনে থাকার কোনও অধিকার নেই প্রয়োজনও নেই।’
এই ঘটনার পর অনেকেই বলেছেন, ভারত আমাদের দেশ। আমাদের কাছে মা এবং দেশ আলাদা। দেশের জন্য আমরা ‘জয় হিন্দ’ বলি। মা’কে যেমন আমরা দেশ বলিনা, তেমনই দেশকে মা বলি না। যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন। লালন পালন করেছেন তিনি আমার মা। অন্যদিকে যে মাটিতে আমার জন্ম, যেখানে আমরা কাজ করি, যে মাটির জন্য আমরা শত্রুর মুখোমুখি নিজেদের যান কুরবান করি তা আমার দেশ। তাই জোর করে কেউ দেশের জয়কে ভারত মাতার জয় বলতে কাউকে বাধ্য করতে পারে না।