পুবের কলম প্রতিবেদক: বার্ষিক পোলট্রির ডিম উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের অ্যানিমাল হাসবেন্ডারির স্ট্যাটিস্টিকস-এর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুসারে ২০২২-২৩ এর বার্ষিক ডিম উৎপাদনের হার অন্য বছরগুলির তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুয়ায়ী, দেশের মধ্যে বাংলা চতুর্থ বৃহত্তম ডিম উৎপাদনের রাজ্য। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিম উৎপাদনে প্রথম পাঁচ রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা, পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্নাটক।
২০২২-২৩ অর্থনৈতিক বছরে, পশ্চিম বাংলা ৮.৬ শতাংশ বেশি দুধ উৎপাদন করেছে। এখনও অবধি এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম দুধ উৎপাদনের রেকর্ড। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বর্ষে উত্তর প্রদেশ রাজস্থানকে হারিয়ে সর্বোচ্চ দুধ উৎপাদন করেছে এ রাজ্য। রাজস্থান প্রতি বছরের তুলনায় এই বছর কম দুধ উৎপাদন করেছে। কারণ ২০২২ সালে এলএসডি রোগের কারণে বহু সংখ্যক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি দুধ উৎপাদনেও লক্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে রাজ্য। ২০২২ -২৩ অর্থবর্ষে দুধ উৎপাদনে এ রাজ্য দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে উৎপাদন বৃদ্ধির হারে। এবারে রাজ্য দুধ উৎপাদনে ৮.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার হয়েছে। পাশাপাশি মাংস উৎপাদনেও লক্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে রাজ্য। ২০২২ ২৩ অর্থবর্ষে এরাজ্য দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে গোটা দেশের মধ্যে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির হারে।
ডিম উৎপাদনে করার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে উল্লে’ করেছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের মতে বর্তমানে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারীরা ডিম উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে এ রাজ্যকে ডিম আমদানি করতে হতো। কিন্তু সেই আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে রাজ্য।
গোটা দেশের মধ্যে ১১.৯ শতাংশ মাংস উৎপাদন করেছে এ রাজ্য।
যাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহল। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভরতার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন জেলার বণিক সভাদের উদ্দেশ্যে এ রাজ্যে ডিম উৎপাদন করার জন্য বিনিয়োগকারীদের আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্যই রাজ্য নজির বিহীনভাবে মাংস,দুধ, ডিম উৎপাদনে নজিরবিহীনভাবে সাফল্য পেল বলেই মত প্রশাসনিক মহলের।