ভারতে ইলিশ রফতানি বাড়ানো আর উচিত হবে না এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভারতে ইলিশ রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বাংলাদেশ। অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ইলিশ রফতানি করা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে এমনটাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। প্রায় ১ হাজার ৩৫২ টন ইলিশ রফতানি হয়েছে। আর আয় হয়েছে অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তা সত্বেও ভারতে ইলিশ রফতানি আর বাড়ানো উচিত হবে না বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার বাণিজ্যিকভাবে শুধু ভারতেই ইলিশ রফতানি করা হয়েছে। তা ছাড়া এ বছর অন্য কয়েকটি দেশে ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ইলিশ রফতানি আর বাড়ানো উচিত হবে না।
তিনি বলেন, দেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ দশমিক ২২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপি-তে এর অবদান শতকরা ১ ভাগ। প্রায় ৬ লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি এবং ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ ইলিশ পরিবহণ, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরী, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি প্রভৃতি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে ও পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা দেয়া হবে।