দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: নলহাটি বিধানসভার কয়থা দুই অঞ্চলের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য জহরুল শেখ কয়েকদিন আগে তৃণমূল পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ফের কংগ্রেস দলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নিজের ঘরেই ফিরে এলেন বীরভূম জেলা যুব সভাপতি নাসিরের সঙ্গে। নিজের দলে এই প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি কংগ্রেস কার্যালয়ে সারতে পারতেন মিল্টন রসিদ। কিন্তু তা করলেন না কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রসিদ।
মঙ্গলবার রামপুরহাট সিপিএম পার্টি অফিসে মহকুমার জোটের মিটিং ছিল। রামপুরহাটের চার নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের কার্যালয়ে ডান বাম ঐক্য বদ্ধ জোটের নমুনা দেখাতে সেখানেই হলো প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক কর্মসূচি। ডানপন্থী ঘরানার রাজনীতিতে চিরকাল অভ্যস্থ ছিলেন বন্দেমাতরম ধ্বনিতে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষকে পাশে নিয়ে “বন্দেমাতরম ও ইনকিলাব” ধ্বনি দিয়ে জোট ধর্ম পালন করলেন বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রসিদ। জোট ঐক্য তাদের কত মজবুত বোঝাতে কসুর করছেন না মিল্টন। দলে ফিরে এসেই জহরুল সেখরা বলেছেন, তাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তাই ভুল বুঝতে পেরে বন্দেমাতরম ও ইনকিলাব ধ্বনি এক সঙ্গে উচ্চারণ করলেন জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা ও লালঝাণ্ডা হাতে নিয়ে।
সোমবার বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীকে ছয় বছরের জন্য জাতীয় কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা দলে থেকে কংগ্রেসের ক্ষতি করছিলেন। অভিযোগ, বীরভূম লোকসভার বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাদের গোপন বৈঠক হয়েছিল। তাই মিল্টন বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন। যদিও এই অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, জাতীয় কংগ্রেসে সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেন মিল্টন রসিদ। প্রদেশ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে, বীরভূম জেলার বীরভূম ও বোলপুর লোকসভায় কোন দল একটিও সংখ্যালঘু প্রার্থী দেয় নি। কিন্তু কংগ্রেস এই মিল্টন রসিদকে প্রার্থী করেছে তার অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য। শুধু কংগ্রেস নয়, জোট প্রার্থী হিসেবে সবাই মিল্টন রসিদের হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।