পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করল। ‘ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরাই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন, বিএডরা নন’। রায় ঘোষণা করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এটি ডিএলএড ডিগ্রিধারীদের জয়। প্রাথমিক শিক্ষক হতে পারবেন ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই, রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের।
আদালত জানিয়েছে , -‘বিএডদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিযোগ করা হবে না’।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের এনসিটিই বিজ্ঞপ্তি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।
ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছিল, -‘ সারাদেশে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও হতে পারবে প্রাথমিক শিক্ষক, তবে নিয়োগের পর ৬ মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে’।
প্রায় ৫ বছরের এই আইনি জটিলতার অবসান হল শুক্রবার।সাধারণভাবে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন আর ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিক স্কুলে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘যেহেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। উচ্চক্ষেত্রে বিএড বাধ্যতামূলক। ফলে বিএডদের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হতে পারেন ডিএলএডরা’। প্রসঙ্গত ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে একাধিক রাজ্যে মামলা দায়ের হয়। রাজস্থান হাইকোর্টও ডিএলএড প্রার্থীদের দিকেই রায়দান করে। এবার বাংলাতেও একই স্বস্তি।শুধু ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরাই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
বিএড ডিগ্রিধারীরা নন। রায় ঘোষণা করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, গোটা দেশ জুড়ে এই নীতি কার্যকর করতে হবে। এতে স্বস্তি পেল ডিএড /ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা।