পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অযোধ্যা জুড়ে এখন সাজসাজ রব। বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে বিশাল রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তার উদ্বোধন ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। ২২ জানুয়ারি মহা ধুমধাম করে মন্দিরের উদ্বোধন হবে। প্রস্তুতি দেখতে ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় যাচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সিনেমা, ক্রীড়া, সঙ্গীত, বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে সমস্ত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুষ্ঠানে যাবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর,মমতা সম্ভবত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না।
বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সামনে লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যার অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া কি তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে ‘সঠিক’ পদক্ষেপ হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য তৃণমূলের বক্তব্য, তাদের দলনেত্রী বিশ্বাস করেন-‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। আর অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির যতটা না ভক্তি রয়েছে, তার থেকে বেশি রয়েছে রাজনীতি।
তৃণমূল নেত্রী বিজেপির সেই ‘ফাঁদে’ পা দিতে রাজী নয়। তাছাড়া বাংলার মানুষ বিচক্ষণ। তারা জানে, কোনটা ধর্ম আর কোনটা রাজনীতি! তাই মমতা অযোধ্যার অনুষ্ঠানে না গেলেও তাঁর হিন্দু ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি অবশ্য বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) পক্ষ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে ইয়েচুরি জানান।
ইয়েচুরির কথায়, ধর্মে বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা তা সম্মান করি। সংবিধান প্রত্যেক মানুষের নিজনিজ পছন্দের ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার দিয়েছে। মন্দিরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। যা ভারতের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠানে তাঁর পক্ষে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়।