পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কৃষক আন্দোলনকে নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করে ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী মোদি সরকার কৃষকদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে। হাজার হাজার কৃষক দিল্লি চলো ডাক দেওয়ার পরেই মোদির সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন খাড়গে।
মঙ্গলবার কংগ্রস সভাপতি খাড়গে বলেন, ‘১০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু মোদি সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’ খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দিল্লি কার্যত একটি দুর্গে পরিণত হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া, ড্রোন থেকে টিয়ারগ্যাস, পেরেক ও বন্দুক সবকিছুই সাজানো হয়েছে। স্বৈরাচারী মোদি সরকার কৃষকদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে’।
হিন্দিতে লেখা ট্যুইটে খাড়গে লিখেছেন, মনে রাখবেন কীভাবে কৃষককে ‘আন্দোলনজীবী’ এবং ‘পরজীবী’ বলে অপমান করা হয়েছিল, আন্দোলনে ৭৫০ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছিলেন’।
কৃষকদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে খাড়গে বলেন, ‘এদিন ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরের একটি অনুষ্ঠানে কৃষকদের ন্যায়বিচারের আওয়াজ তুলবেন তারা। খাড়গে এক্স হ্যান্ডেল থেকে স্পষ্ট করে জানান, ‘আমরা ভয় পেয়ে চুপ করে থাকব না। মাথা নত করব না’।
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের জেরে ফের উত্তপ্ত দেশ। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে এদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা। ফসলের ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার মিছিল করে সংসদ পর্যন্ত যাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশের কৃষকদের একাংশ। কিন্তু সেদিনও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢোকার সব পথে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি ছিল এই ১৪৪ ধারা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লি ঢোকার পথে কোথাও পাঁচজনের বেশি জমায়েত দেখলেই তা সরিয়ে দেওয়া হবে। এদিন কৃষকদের আন্দোলন রুখতে দিল্লির সীমানাকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে পুলিশ। পঞ্জাব-হরিয়ানা এবং দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল ব্যারিকেড সহ রাস্তায় লোহার পেরেক বসানো থেকে কাঁটাতারের বেড়াও দেওয়া হয়েছে।