পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লেবু চাইতে মাঝরাতে পড়শির দরজায় টোকা। বিপাকে সিআইএসএফ। জল গড়াল কোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল মধ্য রাতে পড়শির দরজায় টোকা দেন অরবিন্দ কুমার নামে এক সিআইএসএফ কনস্টেবল। বাড়িতে তখন একা ছিলেন মামলাকারী মহিলা। তাঁর স্বামী নির্বাচনী ডিউটিতে পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন। মাঝ রাতে অরবিন্দ’কে দরজায় দেখে ভয় পেয়ে যান মহিলা। চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। খানিক কথাকাটা কাটির পর চলে যান অরবিন্দ। যদিও অরবিন্দ দাবি করেছেন, ওই রাতে খুব অসুস্থ ছিলেন তিনি। পেট খারাপ ছিল। সামান্য লেবু চাইতে গিয়েছিল প্রতিবেশীর বাড়িতে। এর বাইরে অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ওনার ছিল না। উনি চলে যাওয়ার কথা বললে আমি ওনার দরজা থেকে সরে আসি। সব কথা মাথায় রেখে আমার জরিমানা মুকুব করা হোক।
সংশ্লিষ্ট মামলায় ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত টানাপোড়েন চলে। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে অসদাচারণের জন্য অরবিন্দকে জরিমানা করেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অরবিন্দ। কিন্তু এখানেও স্বস্তি মেলে নি।
বিচারপতি নিতিন জামদার এবং এসএস সতায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, কর্তা বাড়িতে নেই। একা মহিলা ছ’বছরের কন্যাকে নিয়ে রয়েছেন। সব জেনেও মাঝরাতে পড়শির দরজায় হাজির হন ওই ব্যক্তি। পেট খারাপের কথা জানিয়ে লেবু চান। এই ধরণের মন্তব্য ভিত্তিহীন।অরবিন্দ যে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই রাতে পড়শির দরজায় হাজির হননি তা খুব স্পষ্ট।
জানানো হয়, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস আচরণবিধি অনুযায়ী, এমন কিছু করা উচিত নয়, যা সরকারি কর্মীর ভাবমূর্তির সঙ্গে খাপ খায় না।