দেবশ্রী মজুমদার: উনিশ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রামপ্রসাদ দাস কে 106,403 ভোটে পরাজিত করেন অসিত মাল।
রাজনৈতিক জীবনে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৭৭ সালে। সেবার হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করলেও ফের পরাজিত হন। ১৯৮৭ সালে ফের কংগ্রেস টিকিটে লড়াই করে প্রথম বিধায়ক হন। পরের দুবার পরাজিত হন আর সি পি আইয়ের কাছে। ১৯৯৬ সালের পর তাঁর জয়ের আশ্বমেধের ঘোড়া থামানো যায়নি। ২০০৯ সালে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমের কাছে ৯২৮৮২ ভোটে পরাজিত হন। ২০১১ সালে কংগ্রেস – তৃণমূল জোট গড়ে হাত প্রতীকে লড়াই করেন হাঁসনে। সেবারও জয়ী হন। এই জয়ের পর তৃণমূলের সাথে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়। রাজ্য খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়। ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের ছয় মন্ত্রী তৃণমূল সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও অসিতবাবু চেয়ারম্যান পদ ছাড়েননি। এনিয়ে দলের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। এরপরেই ২০১৪ সালে ২১ জুলাই শহিদ মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন। অবশ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সঙ্গে অসিত মালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভা নেত্রী ছিলেন, সেই সময় অসিত মাল ছিলেন রাজ্য সহসভাপতি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক ছিলেন অসিতবাবু। ২০১৬ সালে হাঁসন কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কাছে পরাজিত হন।