পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২১ শে জুলাই ঘিরে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। কলকাতা ছাড়াও জেলা ও শহরতলী থেকে দলে দলে এই কর্মসূচিতে যোগদান দিতে আসছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। উদ্দেশ্যে নেত্রীকে একবার কাছ থেকে দেখা। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো কি বার্তা দেয় সেটাই শোনার জন্য উদগ্রীব সকলে। ধর্মতলা চত্বর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে।
আর সমস্তদিকই খতিয়ে দেখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর করোনার কারণে ভার্চুয়াল সভা হয়েছিল। এবছর করোনার দাপট কমেছে। তাই আবেগ, উন্মাদনা মিশিয়ে সেজে উঠেছে কলকাতা শহর।
২১ শে জুলাই সভার আগেই বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে এক কর্মসূচিকে জোরদার করে তুলতে সকলকে আহ্বান করা হয়েছে। ধূপগুড়ির সভা থেকেই কর্মীদের কর্মসূচীতে আসার আহ্বান করেন তিনি।
অভিষেক জানিয়েছিলেন, এই ধূপগুড়ি থেকেই এই জেলা থেকেই সব থেকে বেশি মানুষ আশা করছেন তিনি। আর দলের কর্মীকে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়।
কলকাতা আসার আগে হাতে করে রিপোর্ট আনবেন, গত এক বছরে কে কতবার বুথে গিয়েছেন, তার রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। বুথে যাওয়ার ছবি নিয়ে আসবেন। আনতে না পারলে মনে রাখবেন, তৃণমূল আর কাউকে তুষ্ট করার জন্য চলবে না। মানুষের জন্য কাজ করে তৃণমূল। নেতার কথা মতো রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়েই কলকাতায় সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতারা৷ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির একাধিক বুথ অঞ্চলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে এসেছেন।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই সব জেলার একাধিক আসনে খারাপ ফল হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। ধূপগুড়ির সভা থেকেই অভিষেক বলেন, এই পরাজয় আমি মাথা পেতে নেব। নিশ্চয় আমাদের কোনও খামতি ছিল। পঞ্চায়েতে প্রার্থী পদ নিয়ে তিনি কড়া মনোভাব পোষণ করে জানিয়েছিলেন, ব্যাংক ব্যালান্স দেখে প্রার্থী করবে না দল। মানুষের সার্টিফিকেট দেখে প্রার্থী করবে তৃণমূল। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে তবেই প্রার্থী হওয়া যাবে।