দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: দশ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আধিকারিক, কর্মরত কর্মী সহ পেনশনভোগীদের বেতন মেলেনি এখনও পর্যন্ত। আর তার কারণে সব থেকে অসুবিধায় পড়েছেন পেনশনভোগী ও স্বল্পবেতনভূক কর্মীরা। এই ঘটনার পর এপিডিআরএ বোলপুর শাখা সদস্য শৈলেন মিশ্র বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ উচ্চ পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে ইমেল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানাতে।
অভিযোগ কারী শৈ্লেন মিশ্র জানান, বিশ্বভারতীর উপাচার্য কর্মীদের স্বার্থে এব্যাপারে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে না, বকেয়া বেতন আদায়ের জন্য।
আমরা সকলে জানি, বিগত কোভিড পরিস্থিতির জন্য ডিএমএ আইন আছে। সেই আইন কে উল্ঙ্ঘন করছে, সঠিক সময়ে বেতন না দেওয়া বা কর্মীদের আন্দোলনে প্ররোচনা দেওয়া।
উপাচার্য ষড়যন্ত্র মধ্য দিয়ে হেনস্থা করার জন্য বকেয়া বেতন আদায়ে কোনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন না। এছাড়াও শান্তিনিকেতন সাধারণ বাজার তার প্রভাব পড়ছে।
এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিরুদ্ধে অতিমারী পরিস্থিতিতে আন্দোলন নামবে বিশ্বভারতীর ছাত্র সংগঠন ও ভিবিউফাআ সংগঠন। তার জন্য যে কোভিড নিয়মাবলি ভঙ্গ হবে তার দায়ভার উপাচার্যের উপর বর্তাবে।
এই সমস্ত দিক দেখে “গণতন্ত্র আধিকার ” বাঁচানোর জন্য অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
অপরদিক ভিবিউফাআ সংগঠন জানিয়েছিল আজ ১০ দিন পার হয়ে গেলেও। এখন পর্যন্ত বেতন মেলেনি জুন মাসের। তবে যারা স্বল্প বেতন প্রাপক চতুর্থ শ্রেণী কর্মী বা কেরানি আছে তারা এর ফলে ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এই সংখ্যাটা বেশি। প্রায় ৩০০ জনের মতো গোটা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছেন। তাদের সংসার টানতে ঋণের বোঝা চাপছে কাঁধে। তার প্রভাব পড়বে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর।