কৌশিক সালুই বীরভূম:– দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় জামিন পেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুর আদালতের বিচারক আরাত্রিকা দাসের এজলাসে মামলার শুনানি হলে জামিন মঞ্জুর করেছেন। ফের তাকে সিবিআই হেফাজতে থাকা আসানসোল সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর মন্ডলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেন বিচারক। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর করা আবেদনের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত দুই হাজার টাকার বন্ডে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে পুনরায় আরো ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কাবুল আলী বিচারকের কাছে পুনরায় পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন রাখেন। পাশাপাশি দুবরাজপুর আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ এজলাস বিচারককে বলেন বিগত ৬ দিন অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল সেভাবে মুখ না খুললেও এদিন সকাল থেকে তিনি মামলা বিষয়ে তথ্য দিতে শুরু করেছেন। তাই আরো সাত দিন পুলিশি হেফাজত দিলে বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদিও বিচারক তা নামঞ্জুর করে জামিন দিয়েছেন।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আসানসোল জেলে সিবিআই হেফাজতে বন্দি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত ইডির আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই দিনই দুবরাজপুর থানায় এক অভিযোগ দায়ের হয় এবং সেই ঘটনায় পরদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে আসা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এদিন পুলিশি হেফাজত শেষ হওয়ার পর শুনানিতে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষে আইনজীবী প্রবাল রায় বলেন,”অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা মামলা যে দায়ের হয়েছিল এদিন বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করেছিলাম। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এ জামিন দিয়েছেন”। দুবরাজপুর আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে বলেন,”খুনের চেষ্টা মামলার শুনানিতে এদিন বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। যদিও আদালতের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে সাত দিনের হেফাজত পুনরায় চাওয়া হয়েছিল।