বাগদাদ, ৮ জুন: নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফিলিস্তিন’ দিয়ে ইসারইলে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন আনসারুল্লাহ। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা শুরুর পর এই প্রথম এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। ইসরাইলের দক্ষিণের বন্দর শহর ইলাতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় ইয়েমেনিরা। সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘ফিলিস্তিন’ নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ইলাত বন্দরের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। আনসারুল্লাহর হামলা শুরুর পরপরই ইলাতে সাইরেন বাজিয়ে ইসরাইলিদের সতর্ক করা হয় এবং তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। হামলার কথা স্বীকার করলেও তাতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানায়নি ইসরাইল। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সমর্থন জনাতেই নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিলিস্তিন’। এদিকে, ইরাকের মাটি থেকেও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে আনসারুল্লাহ। আনসারুল্লাহ প্রধান আব্দুল মালিক আল-হুথি বলেছেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী হাইফা বন্দরের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। ইরাকের প্রতিরোধ দলের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল।’ আল-হুথি জানিয়েছেন, গত ৩০ দিনে লোহিত সাগর, আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা ৩৮টি অভিযানে ৯১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছেন। দাবি করেন, আনসারুল্লাহর যোদ্ধারা একধরনের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যা রাডারকে এড়িয়ে ইসরাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।