পুবের কলম প্রতিবেদক: ডেঙ্গুতে মৃত্যু অব্যাহত। মঙ্গলবার ফের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হয়। মৃত বছর ২৪ এর মল্লিকা দাস উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে প্রথমে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার সংকটজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় যুবতীর।
শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পরিত্যক্ত জমি। সাম্প্রতিককালে গোটা শহর জুড়ে ড্রোন চালিয়ে একটি ছবি সংগ্রহ করে কলকাতা পুরসভা। তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায় বাড়ির ছাদে ট্যাঙ্কের মুখ খোলা, যেখানে থেকে মশা জন্মাচ্ছে। অন্যদিকে, শহরের একাধিক খালি জমিকে রীতিমত ভ্যাটে পরিণত করা হয়েছে। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতায় পরিত্যক্ত জমি, পুকুর, নর্দমার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর তাই এবার পরিত্যক্ত জমি নিয়েই কড়া আইন চাইছে পুরসভা। সেবিষয়ে খুব শিগ্রই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
তবে বর্তমানে শুধু আবেদন-নিবেদন নীতিতেই থেমে নেই পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, রাস্তায় তথা বাড়ির আশেপাশে জঞ্জাল ফেলার অপরাধে এবছর ৪ হাজার ৪৫৪ টি জায়গায় নোটিশ ধরিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী বছর মামলার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে নোটিশ করার পরেও হুঁশ না ফেললে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিউনিসিপ্যাল আদালতে এনে তার বিচার হবে।