পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীব্যাপী অস্ত্রবাণিজ্য ও ‘মারণ যন্ত্রের’ ব্যবসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। খ্রিস্টানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে বিশ্বের জন্য বিশেষ করে ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করতে গিয়ে তিনি যুদ্ধ উসকে দেওয়া অস্ত্র বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বেলকনিতে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা দেন পোপ ফ্রান্সিস। এ সময় তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার পাশাপাশি সেখানে নিরপরাধ মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানোর আহ্বান জানান।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর বড়দিনের প্রার্থনা বিশ্বে শান্তির আহ্বানে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ‘বাইবেলে বেথলেহেমে যিশু খ্রিষ্টের জন্মের গল্প শান্তির বার্তা দেয়। তবে এ বছর বেথলেহেম দুঃখ ও নীরবতার স্থান।’ আজারবাইজান,আর্মেনিয়া থেকে সিরিয়া, ইয়েমেন, ইউক্রেন থেকে দক্ষিণ সুদান ও কঙ্গো এবং কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জ;সব জায়গাতেই মানবিক পদক্ষেপ, সংলাপ এবং সহিংসতা ও হানাহানি বন্ধ করে নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান ফ্রান্সিস।
তিনি বিভিন্ন দেশের সরকার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের অভিবাসন সংকট ও মানবপাচার রোধে এগিয়ে আসতে বলেন। তবে বিশেষ করে অস্ত্র বাণিজ্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, ‘এ অস্ত্র বাণিজ্য বিশ্বজুড়ে সংঘাত উসকে দিচ্ছে।’ ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের এই সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা বলেন, ‘যুদ্ধে কার লাভ হচ্ছে ও কে কলকাঠি নাড়ছে তা সামনে আনতে এ নিয়ে কথা বলা উচিত এবং লেখালেখি করা উচিত।
আমরা শান্তি কীভাবে আশা করতে পারি, যেখানে অস্ত্র উৎপাদন, বিক্রি ও বাণিজ্য ক্রমে বেড়েই চলেছে।’ পোপ ফ্রান্সিস অস্ত্র বাণিজ্যকে ‘মৃত্যুর সওদাগর’ বলে অভিহিত করেন। বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধ নতুন অস্ত্র পরখ করে নেওয়া বা অস্ত্রাগারে পড়ে থাকা পুরোনো অস্ত্রগুলো কাজে লাগানোর উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তির আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান পোপ।