পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে ইসরাইলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানায়, গত আগস্টে তিন দিনের সংঘর্ষের সময় অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৯ জন নিহত এবং ৩১ অসামরিক লোক আহত হন। মানবাধিকার সংস্থাটির আশঙ্কা, ওই হামলা চালিয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি ওই হামলার জন্য আইসিসিকে তদন্ত শুরু করার জন্য চাপ দিয়েছে।
৫ আগস্ট প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে যায়নবাদী ইসরাইল। ইসরাইলের দাবি ছিল, ইসলামিক জিহাদের হামলা ঠেকাতে তারা আত্মরক্ষার্থে হামলা চালিয়েছিল। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, সেবার ইসরাইলের ড্রোন হামলায় গাজার পাঁচ শিশু নিহত হয়েছিল। অ্যামনেস্টি আরও জানায়, ওই হামলার সময় গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস এলাকার একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরাইলি সেনা। সেই ঘটনায় মারা যায় এক নিরীহ ফিলিস্তিনি। সংস্থাটির প্রতিবেদনে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে যায়নবাদী হামলারও বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ৭ অসামরিক লোক নিহত হয়েছিল। এর আগে ২০১৪ সালে গাজায় ইসরাইলি হামলার তদন্ত করে আইসিসি। তারা গাজায় যুদ্ধাপরাধের কিছু প্রমাণও পায়। তবে ইসরাইল তা মানেনি। আইসিসির সদস্য নয় ইসরাইল। এজন্য তদন্তটি বিতর্কিত বলে মনে করে তেল আবিব। শুধু তাই নয়, ইসরাইল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অমান্য করে ফিলিস্তিনি ভূমিতে অবৈধ বসতি নির্মাণ প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। এ দিকে, গত আগস্টের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অংশ না নিলেও সশস্ত্র দলটির বিরুদ্ধে ইসরাইলি অবরোধ চলমান রয়েছে। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন ৪ বার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিবারই ইসরাইলের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল হামাস।