আল-আকসা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামায পড়েছেন অনেকে।
জেরুসালেম, ১১ মার্চ: পবিত্র রমযান মাসেও মজলুম ফিলিস্তিনিদের ওপর চলছে ইসরাইলি নির্যাতন ও গণহত্যা। ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসায় আগত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালাতে দ্বিধা করছে না ইসরাইলি বাহিনী। তবে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আল-আকসায় পবিত্র রমযান মাসের প্রথম তারাবির নামায আদায় করেছেন শত শত মুসল্লি। রবিবার প্রথম রমযানের তারাবি আদায়ের জন্য পুরুষদের পাশাপাশি মসজিদে হাজির হয়েছিলেন নারী ও শিশুরাও। নামায শুরুর আগে ইসরাইলি বাধার সম্মুখীন হন অনেক মুসল্লি এবং মুসল্লিদের পড়তে হয় তল্লাশির মুখে। কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে আল-আকসা প্রাঙ্গণ থেকে ধরেও নিয়ে যায় যায়নাবাদীরা। এত কিছু করেও বন্ধ করা যায়নি নামায। সশস্ত্র বাহিনীর হুমকি উপেক্ষা করেই মুসল্লিরা সমবেত হন পবিত্র মসজিদে। যথা সময়ে জামায়াতের সঙ্গে নামায আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরে ও বাইরে নামায পড়েন অনেকে ফিলিস্তিনি। তবে বিভিন্ন মিডিয়া বলছে, আগে থেকেই নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়েছিল ইসরাইল। ইসরাইল বলেছিল, ৪০ বছরের নিচে কোনও ব্যক্তি আল-আকসা চত্ত্বরে ঢুকতে পারবে না। তবে ইসরাইলি বাহিনীর এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করেন তাঁরা। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের অনেককে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদে নামায পড়তে যাওয়ার জন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন যুবকরা। তবে তাদের কোনও ভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে তাদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়। এসময় ইহুদি সেনার সঙ্গে সংঘাতও বাধে ফিলিস্তিনিদের। আরেকটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামায পড়ছেন অনেকে। ইসরাইলি মন্ত্রী বেন ভির আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি করা হবে হামাসের বিজয় উদযাপন বন্ধ ও ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য।’ তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, রমযানের প্রথম সপ্তাহে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, জেরুসালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলিম এই মসজিদে যান।