পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় পেশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। এদিন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন। নতুন সংসদ ভবন (‘পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়া’) তে এই বিল পেশ হয়। এই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দন’। গতকাল রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। দু দশকের বেশি সময় ধরে বিলটি অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে ছিল। ২০১০ সালে শেষবার এই বিলটি পাশ করা হয়।
মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘মহিলা সংরক্ষণ বিল আগেও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু পাশ করানো হয়নি। ভগবান হয়তো এটা করার জন্য আমায় বেছে নিয়েছেন। মা-বোনেদের আশ্বস্ত করছি। এই বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ।
মহিলা সংরক্ষণ বিল কি?
মহিলা সংরক্ষণ বিল, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ৩৩ শতাংশ কোটার মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্য উপ-সংরক্ষণের প্রস্তাবও রয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসনগুলি পরিবর্তন করা উচিত।
বিলটি প্রথম কখন আনা হয়েছিল?
এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকার ১৯৯৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৮১তম সংশোধনী বিল হিসাবে লোকসভায় প্রথম এই বিলটি পেশ করেছিল। তবে, বিলটি পাশ করাতে ব্যর্থ হয়েছিল দেবগৌড়া সরকার।
উল্লেখ্য, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বিল পাশ করানোর দাবি জানিয়ে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। টুইটে সেই চিঠির কথা শেয়ার করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
সংসদে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের ছবিটা কীরকম?
১৭তম লোকসভায় এখনও পর্যন্ত ৮২ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন। অর্থাৎ, লোকসভার মোট আসনের প্রায় ১৫.২১ শতাংশ মহিলা। ২০২২ সালে কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্যসভায় মহিলাদের প্রতিনিধি আছেন মোট আসনের ১৪ শতাংশ।