পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দীপাবলির আগে কৃষকদের জন্য বড়সড় উপহার। পিএম কিষানের ১২ তম কিস্তির টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় এবার ডিবিটি-র মাধ্যমে ১১ কোটিরও বেশি কৃষকের অ্যাকাউন্টে দুই হাজার টাকা করে স্থানান্তর করা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে সুবিধাভোগী কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা পৌঁছে যাবে।
এই কিস্তিতে বরাদ্দ হয়েছে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে, কৃষক পরিবারে তিনটি সমান কিস্তিতে বছরে মোট ৬,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সরকার প্রতি চার মাসে দুই হাজার টাকা দেয়।
এখনও পর্যন্ত, যোগ্য কৃষি পরিবারকে মোট ১১টি কিস্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষানের টাকা পাঠানো হয়েছে। মোট ২লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা করোনা আবহের ট্রান্সফার করা হয়েছে। এবার এটি ১২তম কিস্তি দেওয়া হল। এই মঞ্চ থেকেই পিএম কিষান যোজনার অধীনে সুবিধাভোগী কৃষকদের জন্য ২ হাজার টাকা করে পাঠালেন মোদি। কৃষকরা সরাসরি নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১২ তম কিস্তির দুই হাজার টাকা পেয়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ অক্টোবর, সোমবার সকাল ১১.৩০ টায় নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে দুই দিনের অনুষ্ঠান ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান সম্মেলন ২০২২’ এর উদ্বোধন করেন। সেখান থেকেই দেওয়া হল ১২তম কিস্তির টাকা।
এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পিএম কিষান যোজনার অধীনে দেশজুড়ে সুবিধাভোগী কৃষকদের মোট ১৬,০০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এদিকে ‘এক দেশ, এক সার’ এর অধীনে কৃষকদের কম দামে ও ভালো মানের সার দেওয়া হবে।’
বলা যায়, পিএম কিষান যোজনার অধীনে সোমবার কৃষকদের দিওয়ালির উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রকলের অধীনে দেশের সমস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করা হয় কেন্দ্রের তরফে।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই যোজনার সূচনা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে এই প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা পরিচালিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ট্যুইট করে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি যোজনা কৃষকদের সমৃদ্ধিতে অংশীদার হয়ে উঠছে। এখনও পর্যন্ত ১১.৩ কোটিরও বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন। সম্মেলনে অংশ নিতে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ৬০০টি কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র চালু করবেন। এই প্রকল্পের অধীনে, সারা দেশে সারের দোকানগুলিকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে।’