আবদুল ওদুদ
পবিত্র ঈদ-উদ-ফিতর একেবারে দুয়ারে হাজির। ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী পবিত্র রমযানে ১ মাস রোযা রাখার পর ১লা শাওয়াল সারা জাহানের মুসিলিমরা ঈদ-উল-ফিতর-এর নামাযে শামিল হন। পবিত্র এই ঈদের নামায শেষে একে অপরকে আলিঙ্গন করেন অনেকে। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অন্যান্য ১২টি মাসের মধ্যে শাওয়াল একটি মাস। আর এই মাসের ১ তারিখ ঈদ-উল-ফিতব বা খুশির ঈদপালিত হয়û।
রমযান মাস শেষ হতেই পশ্চিমা আকাশে ওঠে শাওয়াল মাসের চাঁদ। আর গোটা বিশ্বের মুসলিমরা আনন্দে মেতে ওঠেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে ঈদের জামাতে অংশ নেন। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে গোটা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের রাজ্যেও আনন্দে মেতে ওঠেন মুসলিমরা। এক মাস রোযা রাখার পর ঈদের জামাতে সামিল হন সকলে।
কিন্তু গত ২ বছর গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। কোথাও কোথাও সীমিত পরিসরেû ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু করোনা বিধি মেনে পালন করায় সামান্য কিছু সংখ্যক মানুষ এতে অংশ গ্রহণ করেন।
আমাদের রাজ্যে ঈদের জামাত সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোড এবং মালদার সুজাপুর নয় মৌজা ঈদগাহ ময়দানে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবছরে কলকাতা রেড রোডে আবার অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। ২ বছর পর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা খিলাফত কমিটি। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নিয়েছে। লালবাজার প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত করেছে। খিলাফত কমিটি কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে পানীয় জল-ওজুর পানি-গাড়ি পার্কি ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে আলোচনায় বসছে। দু-এক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে আশা করছেন খিলাফত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, প্রতিবছর রেড় রোডের নামাযে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন। আশা করছি এবছর তিনি উপস্থিত থেকে রাজ্যবাসীকে সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের বার্তা দেবেন।
নাসির আহমেদ বলেন, রেড রোডের ঈদের জামাতে শুধু কলকাতার মুসলিমরা নয়, কলকাতার আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ শামিল হন। রাজ্যের সব চেয়ে বড় জামাতে অংশ গ্রহণের জন্য অনেকে অধীর আগ্রহে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন। জনাব নাসির আহমেদ বলেন, ঈদ-উল-ফিতরের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল ওজুর পানির ব্যবস্থা থাকবে। রেড় রোড এলাকা জুড়ে থাকবে ৬৫টি মাইক। সেনা কর্তৃপক্ষ ১ দিন আগেই রেড রোড চত্বর খিলাফত কমিটির হাতে হস্তান্তর করবে। সারারাত জেগে খিলাফত কমিটি ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।
আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এবছর সকাল ৮.৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে নাসির আহমেদ জানান।
অন্যদিকে রাজ্যে বড় মসজিদ নামে পরিচিত কলকাতা নাখোদা মসজিদে এবছর ঈদের জামাত সকাল ৬.১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে বৃহৎ পরিসরে এবছর নাখোদা মসজিদেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইমাম মাওলানা শফিক কাশেমী।