পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গ্রেফতারির পর এই প্রথম মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার পার্থকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পার্থ বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৮ ঘন্টা পর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ পার্থ ও অর্পিতাকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই পার্থ এই বিস্ফোরক দাবি করেন।
এদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের সামনে আসতেই গাড়িতে কিছুতেই নামতে চাইলেন না অর্পিতা। গাড়ির মধ্যে কান্না জুড়ে দেন । পরে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাসপাতালের কর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে হুইল চেয়ার করে হাসপাতালের মধ্যে নিয়ে যায়।
গতকালই নবান্ন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির কথা ঘোষণা করা হয়। এর পরেই শৃঙ্খলাকমিটির বৈঠকের পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তৃণমূলের সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
সেই সঙ্গে অভিষেক জানিয়ে দেন, তৃণমূল এমন একটি দল যা মানুষের জন্য তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সিপিএম, বিজেপির চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না। তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের আদর্শকে সামনে রেখে লড়াই করে।
অভিষেক বলেন, যে অন্যায় করে তৃণমূল তাকে রেয়াত করে না। বিচারে দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক।
অভিষেক আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়ে দেন, তৃণমূলের পাঁচটি পদ থেকে অপসারিত করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের মহাসচিব, জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান, জাগো বাংলার সম্পাদক এই সমস্ত থেকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। নবান্ন থেকে শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় এই তিনটি পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
অভিষেক আরও বলেন, এই তদন্ত প্রক্রিয়া যতদিন চলবে, ততদিন এই সাসপেনশন বহাল থাকবে। তবে তিনি যদি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দরজা তার জন্য খোলা আছে।