পুবের কলম প্রতিবেদক: এক বিশেষ আমন্ত্রণে পুবের কলমের রডন স্ট্রিটের অফিসে আসেন মেয়র পারিষ সদস্য, মহামেডান ক্লাবের সভাপতি, ইসলামিয়া হাসপাতাল সহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষ পদে থাকা আমিরুদ্দিব ববি।
শনিবার প্রত্রিকার দফতরে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে পুবের কলম প্রত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান আমিরুদ্দিন ববির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘মহামেডান একটা সময় হারিয়ে গিয়েছিল, আবার আমিরুদ্দিন ববি সাহেবের দৌলতেই এই ক্লাব হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছে। ইসলামিয়া হাসপাতালকে উৎকৃষ্ট মানের পরিষেবা প্রদানের জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই ইসলামিয়া হাসপাতাল গড়ে তোলার পিছনে একদিকে যেমন রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অন্যদিকে এই হাসপাতালকে আরও আধুনিক মানের সেবা-পরিষেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন আমিরুদ্দিন ববি। যা মানুষের উপকারে কাজে লাগছে। বলা আমিরুদ্দিন ববি সেবার মধ্যে দিয়ে সকলের জন্য মানবতার ধর্ম পালন করে চলেছেন। এমনকী মুসলিম ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার প্রসারেও উনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীরা যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারে, তার জন্য সর্বদা সচেষ্ট আমিরুদ্দিন ববি সাহেব। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।
আহমদ হাসান ইমরান বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে ইসলামিয়া হাসপাতালের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পায় তার জন্য বিশেষ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
এদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আমিরুদ্দিন ববি বলেন, রাজ্যে সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ থাকলে ইসলামিয়া হাসপাতালে সম্পূর্ণ নিখরচায় পরিষেবা মিলবে। এছাড়াও যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তারাও পরিষেবা পাবে স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে। ফলে এতদিন গরীব, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যে ক্ষোভ ছিল, তা অনেকটাই দূর করে চলেছে ইসলামিয়া হাসপাতাল। চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমস্ত ধরনের আধুনিক মানের পরিষেবা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও আমাদের মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সাংবাদিক বন্ধুরাও যাতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে। এখানে কোনও ধর্মের ভেদাভেদ নেই, আমরা চাই দূর-দূরান্ত, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা গরীব, নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। যাতে তারা নির্ভয়ে এখানে চিকিৎসা করাতে আসতে পারেন।
আমিরুদ্দিন ববি সাহেব জানান, ইসলামিয়া হাসপাতালে ক্যানসারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা হয়। আর যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, তারাও রাজ্যে সরকারের এই কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে ক্যানসার রোগের চিকিৎসা পাবে। এখন এই পরিষেবা হাসপাতালে উপলব্ধ।
আমিরুদ্দিন সাহেব আরও জানান, সাধারণ মানুষের সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা সব সময় কাজ করে চলেছি। জার্মানি থেকে এই হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ও মেশিন আসছে। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য মোবাইল ওষুধ পরিষেবা আমরা চালু করব মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, রাজাবাজারের দিক। ভবিষ্যতে আমাদের একটি ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যানসারের জন্য কেমো দেওয়া, ওটি ইসলামিয়া হাসপাতালে হয়। তবে সেখানে রে- দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। আমাদের পিপিপি মডেলে ক্যানসার হাসপাতাল পার্ক সার্কাসের দিকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, সেখানে ক্যানসার রোগীদের রে-দেওয়ার সুবন্দোবস্ত থাকবে। এছাড়াও ক্যানসার রোগীদের জন্য অন্যান্য সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে। মোট ৬০০ শয্যার হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
আহমদ হাসান ইমরান বলেন, একদিন যেমন বাংলার গৌরব ছিল, সেই গৌরবই পুনরায় সুস্থ, সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে আবার আমাদের রাজ্যে ফিরে আসবে।