পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রেমের আড়ালে লুকিয়ে বিকৃত মানসিকতা। মৃতদেহের সঙ্গে যৌনতার অভিযোগ প্রেমিক সহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। নিজের কিশোরী প্রেমিকাকে খুন করার পরে নিজের ইচ্ছে মতো যৌনতা! ময়নাতদন্তে নেক্রোফিলিয়ার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রেমিকাকে বার বার শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রেমিক, কিন্তু রাজি হয়নি সে। আর তার পরেই নিজের আদিম রিপু চরিতার্থ করতে চরম সিদ্ধান্ত নেয় সে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, তার পরেই তার সঙ্গে যৌন লালসা চরিতার্থ করার খেলায় মাতে প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু। ঘটনায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারী সহ তিনজন। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে অসমের করিমগঞ্জ জেলায়। ধৃত তিনজনের নাম বিপ্লব পাল, শুভ্র মালাকার, রাহুল দাস। এদের মধ্যে রাহুল রেলে কর্মরত। বুধবার তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর অসমের করিমগঞ্জ টাউন বাইপাসের পাশে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাবা-মা দেহটি শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওইদিনই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তে নেক্রোফিলিয়ার প্রমাণও পায় পুলিশ। ঘটনায় পকসো আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থ প্রতিম দাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলাকালীন পুলিশ মেয়েটির একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি পেয়েছিল। সেই ডায়েরিতে একটি ফোন নম্বর ছিল। নম্বরটি ধরে অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে সেটি এক রেলওয়ে কর্মচারীর। সদ্য সে রেলের চাকরি পেয়েছিল। মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ওই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, মৃতা কিশোরীকে সে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে বার বার নাকচ করে দেয়। ৯ সেপ্টেম্বর, মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়েছিল ওই রেলকর্মী। তার সঙ্গে তার দুই বন্ধুও ছিল। তিনজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, কিশোরিটি বাধা দেয়। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তিনজন, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে কিশোরীকে। এর পরেই মেয়েটির মৃতদেহের সঙ্গে যেমন খুশি যৌনকর্মে লিপ্ত হয় তিনজন। তার পর দেহ বাইপাসের ধারে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। ওই রেলকর্মীর মাধ্যমেই বাকি দুজনকেও খুঁজে বের করে পুলিশ।