পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একের পর এক ব্যর্থতার মুখ দেখছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সশস্ত্র রাজনৈতিক দল তালিবানের কাছে দেশের ৫০টি জেলা খোয়ানোর পর এবার তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগান সীমান্তের প্রধান একটি ক্রসিং পয়েন্টও হাতছাড়া হয়ে গেল প্রশাসনের। আফগান ইসলামপন্থী সংগঠন তালিবান মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ক্রসিং পয়েন্টটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রাদেশিক কর্মকর্তারা বলেছেন, তালিবান সীমান্ত পোস্টটি দখল করার পর সেখানে দায়িত্বরত সেনা জওয়ানরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বা পালিয়েছেন। ওই সীমান্ত পোস্টটির নাম শির খান বন্দর। এর অবস্থান কুন্দুজ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে।
বলা হচ্ছে, ১লা মে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার চূড়ান্ত দফায় শুরু করার পর থেকে এটাই তালিবানের সবচেয়ে বড় অর্জন। কুন্দুজ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য খালিদ্দিন হাকমি বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই পোস্টের দখল নিয়ে এক ঘন্টার লড়াই হয়। এরপরই তালিবানি যোদ্ধারা তাজিকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের শির খান বন্দর, পার্শ্ববর্তী এলাকা ও ওই চেকপোস্টের পুরোটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।
একজন আফগান সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সব চেকপোস্ট থেকে আমরা সরে আসতে বাধ্য হয়েছি। লড়াই চলাকালীন কিছু সেনা সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন।’ এদিকে এই বিজয় সম্পর্কে নিশ্চিত করেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তালিবান মুখপাত্র বলেছেন, ‘শির বন্দর এবং কুন্দুজে তাজিকিস্তানের সঙ্গে সব সীমান্ত ক্রসিংয়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন আমাদের মুজাহিদরা।’
উল্লেখ্য, সীমান্তটি ৭০০ মিটার একটি সেতু দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মধ্য এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমেরিকার অর্থে ২০০৭ সালে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। শির খান একটি প্রশস্ত শুকনো বন্দর যা দিনে এক হাজার গাড়ি পরিচালনায় সক্ষম।
বিগত মে মাসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকেই তালিবান তাদের কর্মসূচি জোরদার করেছে। ইসলামপন্থী ব্যবস্থায় দেশ শাসনের লক্ষ্য নিয়েই তারা নয়া উদ্যম নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এদিকে, তালিবান মোকাবিলায় শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।