ছত্তিশগড়, ১০ ডিসেম্বর: ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আদিবাসী নেতার উপরে ভরসা রাখল বিজেপি। রবিবার সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম। অনেকে বলছেন, বিজেপি আদিবাসী মুখ তুলে আনল অঙ্ক কোষে। ২৪-এ লোকসভা ভোট। বিজেপিকে চাপে ফেলতে জাতি সমীক্ষার কথা বার বার তুলছে কংগ্রেস। মনুবাদী দল বিজেপি বর্ণহিন্দুবাদী দল। তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ নেই। কিন্তু তা বলে কংগ্রেসের পাতা ফাঁদে পা দিতে নারাজ বিজেপি। দলিতদের সম্পর্কে আরএসএস-এর মানসিকতা যায় হোক না কেন, বিজেপি তা নিয়ে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। তারা ঠিক করছে কিছু জায়গায় তারা দলিত ও আদিবাসী মুখ সামনে আনবে। দলিত ও আদিবাসীদের সম্পর্কে তাদের মানসিকতা মুনবাদের সমার্থক হলেও, রাজনীতি তে ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বিজেপি। তাছাড়াও দেখা গিয়েছে বিজেপিতে জায়গা পাওয়া এই আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণীর নেতা নেত্রীরা দলের প্রতি বাড়তি ‘ওয়াফাদার’ হন। তাতে আদিবাসী, তফসিলি ও দলিতদের সামাজিকভাবে আর তুলে আনার দায় থাকে না। কেবল দু’একজন দলিত– আদিবাসি কিংবা অনগ্রসর মুখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো যায়।
ছত্তিশগড় এই প্রথম কোনও আদাবিসী মুখ্যমন্ত্রী পাচ্ছে। রাজ্যের প্রথম আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবার শপথ পাঠ করতে চলেছেন বিষ্ণুদেব সাই। এর আগে, মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ছত্তিশগড়ে রাজ্যের দলীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিষ্ণুদেব মোদি সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। এবার বিপুল ভোট জয়ী হয়েছেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। অনেকে মনে করেছিল, হয়ত রমন সিংকেই ফিরিয়ে আনবে বিজেপি। কিন্তু যারা মোদি জমানার বিজেপিকে চেনেন, তারা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন রমন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না। রমন সিং অটল জমানার নেতা। ওই জমানার নেতাদের মধ্যে খানিকটা ‘বাগি’ প্রবণতা থাকতে পারে বলে আজকের মোদি ব্রিগেডের অনেকেরই সন্দেহ। তাই অটল জমানার কমবেশি নেতা নেত্রীদের ডানা অতি সুক্ষভাবে ছাটা হচ্ছে বলে সন্দেহ আদি বিজেপি নেতাদের অনেকেরই মনে।