পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ২১ হাজার ৫০০ নীরিহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলের সেনা। আর এই গণহত্যায় প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে আমেরিকা। বারবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহুর পিঠ চাপড়ে দিয়েছে আমেরিকার বাইডেন। বার্তা দিয়েছে, পাশে থাকার। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ও ফিলিস্তিনের মানুষকে সমর্থন জানাতে রমন ম্যাগসেইসেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন সন্দীপ পান্ডে। এছাড়া আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করে দুটি ডিগ্রি তিনি লাভ করেছিলেন, সেই দুটিও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। গান্ধিবাদী আদর্শে দেশের সেবা, শান্তির বার্তা বহনকারী ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষিত করে তোলার ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্যেই রমন ম্যাগসেইসেই পেয়েছিলেন সন্দীপ।
সন্দীপ জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন–ইসরাইল যুদ্ধে আমেরিকার ‘ভূমিকা’ দেখে তিনি স্তব্ধ। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোশ্যালিস্ট পার্টি (ইন্ডিয়া)র সঙ্গে যুক্ত সন্দীপ। আমেরিকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং এণ্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ এমএসসি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। সে দু’টিও ফিরিয়ে দেবেন সমাজকর্মী সন্দীপ।
তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরাইল। আর তা নির্লজ্জভাবে সমর্থন করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় ২১ হাজার ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। তারপরও ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। সেই কারণেই এই পুরস্কারটি নিজের কাছে রাখা আমার পক্ষে অসহনীয়। তাই অবশেষে পুরস্কারটি ফরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
সন্দীপ বলেন, ‘আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যারা মানবাধিকারকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এটা শুধুমাত্র তাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।’
ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি এই দ্বিচারিতা ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। তার মতে ফিলিস্তিনের উপর হামলা চালাতে ইসরাইলকে সবথেকে বেশি উৎসাহ দিচ্ছে আমেরিকা।
ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ডাক দিয়েছেন সমাজকর্মী সন্দীপ পান্ডে।