পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বীরভূমের বগটুই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এবার বগটুই কাণ্ডে তদন্তকারী রাজ্যের সিটে ভিন রাজ্যের আরও দুই আইপিএস আসছেন। তবে বদল হবে না সিটের প্রধান। এদিন বগটুই মামলায় স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর রাজ্য পুলিশ ও লালনের পরিবার দাবি তোলে, ‘সিবিআই-ই যেখানে অভিযুক্ত, সেখানে তারা কীভাবে তদন্ত করতে পারে’। গত ৯ অক্টোবর আদালত জানায়, ‘নিরপেক্ষ অফিসারদের দিয়ে তদন্ত হবে।’
মঙ্গলবারের শুনানিতে আদালত জানায়, ‘বগটুই কাণ্ডের তদন্তে এসআইটি-তে ভিন রাজ্যের আরও দুই আইপিএস নিয়োগ করা হবে’। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, “রাজ্যে গরু পাচার তদন্তে বড় বড় অফিসারদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ। এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ১০ জনকে মেরে ফেলা হল। একবার শুধু অভিযুক্তদের তালিকা দেখুন। রাজ্য পুলিশ, সিআইডি তদন্তে ঢিলেমি দিচ্ছে, দেরি করছে। এই জন্যই আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলছি।”
বিচারপতি খান্না তখন প্রশ্ন করেন, “যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা তো ঠিকই ছিল।” দলে কারা রয়েছেন, তা জানতে চান তিনি। তখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, ‘সকলেই রাজ্যের’। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘দু’জন অন্য অফিসার নিয়োগ করা হবে’। তখন অতিরিক্ত সলিসেটর জেনারেল টিমের প্রধান বদলের দাবি করলে আদালত বলে, গত শুনানিতে প্রধান নিয়ে কোনও আপত্তির কথা বলা হয়নি। রোজ রোজ অবস্থান বদল করা যায় না।তখন ফের এসভি রাজু বলেন, “আদালত যাদের নিযুক্ত করবে, তাদের মধ্যে থেকেই কেউ যেন তদন্তে নেতৃত্ব দেয়।”
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।বীরভূমের বগটুইয়ে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটে, তার অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। ঘটনার ৯ মাস পর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই গ্রেফতারির ৯ দিনের মাথায় রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালনের। এরপরই নিহতের পরিবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। লালন-মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করে লালন শেখের স্ত্রী। সেই মামলায় রাজ্যের সিট তদন্ত চালাচ্ছে।