সুমিত দে: হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে গাড়িতে পুরী বেড়াতে যাচ্ছিলেন পাঁচ বন্ধু। বেড়ানোর আনন্দে মশগুল ছিলেন তারা। প্রচন্ড গতিতে গাড়ি ছুটছিল পুরীর দিকে। ভোরবেলা সম্ভবত কিছুটা ঘুম চোখেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। আচমকাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় জাইলো গাড়িটি। শনিবার ভোরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাংলার দুই যুবকের। গুরুতর আহত হয়েছেন গাড়িচালক সহ আরও তিনজন। বর্তমানে তাঁরা কটক সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম গৌতম দাস (৩২) এবং শুভজিৎ ভৌমিক (২৮)। হাওড়ার সাঁকরাইলের মাশিলা এলাকার বাসিন্দা গৌতম পেশায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের ঠিকাদার এবং হলদিয়ার বাসিন্দা শুভজিৎ পেশায় দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। এঁদের আরও ৩ বন্ধু সহ গাড়িচালক কটক স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে একটি জাইলো গাড়িতে করে পাঁচ বন্ধু পুরী বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে বন্ধুরা খাওয়া-দাওয়াও করেন। দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই গাড়িটি ভদ্রকের বায়াবানাপুরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সোজা ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌতম নামে এক ব্যক্তির। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর যখন অবস্থায় গাড়িচালক সহ বাকিদের উদ্ধার করে কটক সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে শুভজিত নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গাড়িটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
এই পথ দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার জানান, এই দুর্ঘটনা নিয়ে ওড়িশা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব দ্রুতই গৌতম ও শুভজিতের দেহ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে মৃত দুই যুবকই বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এঁদের মধ্যে আবার শুভজিৎ অবিবাহিত এবং গৌতম বিবাহিত। তাঁর একটি ছোট ছেলেও রয়েছে। এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় দুই পরিবারেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।