পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদে আবেদন জমা পড়ল ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। প্রতিটি শূন্য পদের জন্য ৬৩টি আবেদন জমা পড়েছে। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে।
বর্তমান সরকারের আমলে, চতুর্থবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেটের আয়োজন হয়েছিল। ২০১৭ সালের আবেদনের ভিত্তিতে পরীক্ষা হয়েছে ২০২১ সালে। যার ফল প্রকাশিত হয় গত জানুয়ারিতে।
১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে প্রাথমিক টেটের ফর্ম পূরণ করা যাবে বলে জানিয়েছিল সংসদ। ফর্ম পূরণের শেষ দিন ছিল ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার আবেদন জমা পড়েছে মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। প্রতিটি শূন্যপদের জন্য লড়াই করবেন ৬৩ জন প্রার্থী।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা পদ্ধতি-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েও সবরকম প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
এর আগে ২০১৭ সালে ২ লক্ষের কিছু কম চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। মাঝে ৫ বছর কোনও টেট পরীক্ষা হয়নি। ফলে চাকরি প্রার্থীরা অপেক্ষা করছিলেন এই পরীক্ষার জন্য। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই আবেদন করেন তাঁরা। অনলাইনেও আবেদনের সুযোগ ছিল এবার।
মূলত টেট পাশ করা ও প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরই আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। পরে জানানো হয় শারীর শিক্ষায় ডিগ্রি থাকলেও এই পরীক্ষায় বসা যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শূন্যপদের সংখ্য়া মাত্র ১১ হাজার ৭৬৫। সেই পদে চাকরির জন্যই লড়াই করবেন ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। গত কয়েক বছরে নিয়মিত টেট পরীক্ষা না হওয়ার ফলেই এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৪ ও ২০১৭- টেট উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন। বঞ্চনার অভিযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল আগেই। আর এবার টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৮-র উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দাবি জানান, তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে, তাঁরা কোনও পরীক্ষা দেবেন না। অন্যদিকে, ২০১৭-র প্রার্থীরা দাবি করেছেন, তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়ে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাই তাঁদের অগ্রাধিকার প্রাপ্য। সুতরাং পরীক্ষা হলেও টেট নিয়ে জটিলতা পুরোপুরি কেটেছে, তা বলা যায় না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছিলেন, তাঁরা সবাই অংশ গ্রহণ করতে পারবেন ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য এই নির্দেশ। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে। প্রার্থীরা আবেদন করেছেন। পরীক্ষা নেওয়ার পর প্রার্থীদের অন্যান্য প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।