পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মানুষের জীবনে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।ডিজিটাল যুগে অনেকেই নিজে থেকেই বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গুলি থেকে নিজের জন্য পছন্দ মতো পাত্র খুঁজে থাকে।আগে এই ওয়েবসাইট গুলির ভালো প্রচলন না থাকলেও, ২১ শতকে এই সাইট গুলির প্রচলন বহু মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে স্কামও।এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল তেলেঙ্গনা।
মূলত বিধবা নারীদের ভালো থাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদ পাততো ওই ব্যক্তি।কেউ তাঁর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে দিলে বিয়ে করার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে চম্পট দিতেন ওই ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, প্রতারক ওই ব্যক্তির নাম আদাপা শিবা শঙ্কর বাবু। তেলেঙ্গনার বাসিন্দা সে। সুখী দাম্পত্যের টোপ দিত ওই প্রতারক, তাঁর পাতা ফাঁদে পা দিলেই আত্মসাৎ করত লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই একঅভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন হায়দরাবাদের ৭ মহিলা।এমনকি হায়দরাবাদের প্রেস ক্লাবেও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন দুই অভিযোগকারিণী।
তাদের দাবী, ওই ব্যক্তি বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গুলি থেকে বেছে বেছে ধনী মেয়েদের বাছাই করত।তারপর নানান ভাবে তাদের প্রলোভন দেখাত।সাধারণত বিধবা মহিলারাই তাঁর পাতা ফাঁদে বেশি পা দিতেন বলেই অভিযোগ। তেলেঙ্গনার ওই বাসিন্দা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার বলেও দাবী করতেন তিনি।
নিজেকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চ পদাধিকারী বলেও দাবি করতেন তিনি।শিবার কথায় সে একজন বিপত্নিক, সঙ্গে রয়েছে মা হারা এক সন্তানও।এই সব বলে বিধবা মহিলাদের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করত ওই ব্যক্তি।এমনকি স্ত্রীর পরিবার পরিজনদের বলতেন বিয়ের পর তাঁকে আমেরিকা যেতে হবে তাঁর জন্য প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই সব বলে টাকা নিতেন তিনি। আর সেই টাকা নিয়ে চম্পট দিতেন তেলেঙ্গনার বাসিন্দা শিবা।
এই প্রতারণায় শিকার হওয়া এক মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হতেই চক্ষু কপালে ওঠে পুলিশের।অউলিশ তদন্তে নেমে দেখতে পান যে,২০১৮ সাল থেকেই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন শিবা।
পুলিশ সূত্রে খবর, একই সঙ্গে একই এলাকার ৩/৪ জন মহিলাকে একই ভাবে তাঁর জালে ফাঁসিয়েছে ওই ব্যক্তি।প্রতারিত মহিলাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চপদে কর্মরতা বলেও খবর।এমনকি প্রতারক ওই ব্যক্তি অন্ধ্রপ্রদেশের এক মন্ত্রীর আত্মীয় এবং তিনি নিজেকে এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করতেন।