পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: বোমা ফেটে উড়ে গেল বাড়ির চাল, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা বাড়ি। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের বাণেশ্বরপুর গ্রামে। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আহত হন বাড়ির তিন সদস্য। তাঁদের কোনওক্রমে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা ভর্তি করে হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এক মহিলা এখনও চিকিৎসাধীন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের মধ্যেই বোমা মজুত করা ছিল। তা ফেটে এই দুর্ঘটনা। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘড়িতে রাত প্রায় পৌনে তিনটে। বাণেশ্বরপুর গ্রাম কেঁপে ওঠে বোমার শব্দে। ঘুম ভেঙে যায় সকলের। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবেশী জামরুল মল্লিকের মাটির বাড়িটি ভেঙে গিয়েছে। তার নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বাড়ির মালিক জামরুল মল্লিক, তাঁর স্ত্রী মারজেদা বিবি ও তার ছেলে লালচাঁদ। প্রতিবেশীরাই তাঁদের কোনওক্রমে ভেঙে পড়া বাড়ির নীচ থেকে উদ্ধার করে ভাতাড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর জামরুল ও লালচাঁদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মারজেদা বিবির আঘাত বেশি থাকায় তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, জামরুল মল্লিক ও তাঁর ছেলে লালচাঁদ কেরলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। সপ্তাহ তিনেক আগে তাঁরা ভাতাড়ের বাণেশ্বরপুর গ্রামে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে পাশের গ্রাম কুলনগরের বেশ কয়েকজন যুবকের সাথে লালচাঁদ ও তাঁর বন্ধুদের বচসা হয়েছিল। তার জেরেই কি লালচাঁদ নিজের বাড়িতে বোমা মজুত করেছিল? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে ঘরে থাকা বোমা ফেটেই যে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। জামরুল ও লালচাঁদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, বছর দেড়েক আগে লালচাঁদকে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে কেরলে বাবার কাছে গিয়ে কাজ শুরু করে। এবার বাড়িতে ফিরে ফের ঘরে বোমা মজুতের ঘটনায় সন্দেহের তীর তার দিকেই।