পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরের প্রান্তিক মানুষদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মা-মাটি মানুষের সরকার ‘মা ক্যান্টিন’ চালু করে। রাজ্যের বিরোধীরা ‘ডিম্ভাত’ শব্দ জুড়ে দিয়ে বারবার তামাসা করলেও হিসেব অন্য কথা বলছে। শহরের প্রায় দু’কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই ‘মা ক্যান্টিনে’ খেয়ে ফেলেছেন।
বাংলা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকারিভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মা ক্যান্টিন চালু হয়েছিল। ক্যান্টিন চালু হওয়ার দিন থেকে হিসাব বলছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘মা ক্যান্টিনে’ ডিম-ভাত খেয়েছেন মহানগর কলকাতার বিপুল সংখ্যক মানুষ। পুরসভার হিসেবে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯০ জন মানুষ খাবার গ্রহন করেছেন। প্রতি মাসে তিলোত্তমা কলকাতার ৯ লক্ষ ২ হাজার ৫১৮ জন মানুষ মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে সুষম খাবার খাচ্ছেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে মিমের কমতি নেই। মাঝেমধ্যেই বিরোধী শিবির থেকে কটাক্ষ ধেয়ে আসে। তবে সেই সমালোচনাকে থোড়াই উড়িয়ে দিয়ে ‘মা ক্যান্টিনের’ পরিষেবা বজায় রয়েছে। একদিকে যেমন বিরোধীদের কটাক্ষ অন্যদিকে শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ মা ক্যান্টিনে পাঁচ টাকা নিয়ে লাইন দিয়ে পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন।
প্রান্তিক মানুষদের সস্তায় খাবার খাওয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করারই সামিল মনে করেছেন কেউ কেউ। জানা গেছে, মা ক্যান্টিনের পথচলার দিনে কলকাতায় সংখ্যাটা ছিল ১৩৩ টি। বর্তমানে শহরে ১৩৮ টি ‘মা ক্যান্টিন’ চালু রয়েছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে। কলকাতা পুরসভার তরফে ক্যান্টিন দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন মেয়র পারিষদ (সমাজকল্যাণ ও নগরদারিদ্র দূরীকরণ) মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানান ‘শুধু দরিদ্র মানুষ নন। হাসপাতালের বাইরে ‘মা ক্যান্টিনে’ বহু রুগির আত্মীয় এই খাবার খান। ভিনরাজ্য থেকে শহরে কাজের খোঁজে এসেও অনেকের ভরসা ডিম-ভাত। তা নিয়ে হাসি মশকরা করা উচিত নয়।’ রাজ্য সরকার ডিম-ভাতের জন্য মাথাপিছু ১০ টাকা ভর্তুকি দেয়। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ‘মা ক্যান্টিন’ চালু হয়। কলকাতায় যে সকল স্থানে মা ক্যান্টিন রয়েছে তার মধ্যে ৮টি কেন্দ্র চালু আছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, এম আর বাঙুর, শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে চালু রয়েছে মা ক্যান্টিন।