পুবের কলম প্রতিবেদক: বড়দিন আসা মানেই ছুটি আমেজ শুরু হয়ে যায় বাঙালির মধ্যে। ছুটি কাটাতে কারো কারো ঘুরতে যাওয়ার ডেস্টিনেশন হয় কাছেপিঠে, আবার কেউ কেউ বেছে নেয় সমুদ্র সৈকত নয়তো পাহাড়ি এলাকা। বড়দিনের উৎসব থেকে শুরু করে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় হলিডে ডেস্টিনেশনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছে কলকাতার আশপাশে থাকা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে। কেউ গিয়েছেন ইকো পার্কে। আবার কারো কারো গন্তব্য নিক্কো পার্ক। এদিন থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ইকো পার্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো এবারও তিল ধারণের জায়গা নেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
এদিন সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা ঢুকতে লম্বা লাইন দেখা যায়। বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফদের দেখতে চিড়িয়াখানায় কচিকাঁচাদের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছে বড়রাও। কেউ কেউ আবার ভিড় জমিয়েছে সায়েন্স সিটিতে। কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি সেন্ট ক্যাথিড্রাল চার্চ। প্রতিবছরের মতো এ দিনও প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এই চার্চে। বড়দিনের ছুটিতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এ দিনও বেশি রাত পর্যন্ত চলবে কলকাতা মেট্রো। সন্ধ্যার পর থেকে আট মিনিট অন্তর চলবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রো। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টায়।
শুধু কলকাতার আশপাশেই নয়, বড়দিন থেকে শুরু করে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে দিঘা, মন্দারমণির বিভিন্ন হোটেলেও। জানা গিয়েছে, দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরের প্রায় সব হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। সমস্ত পর্যটকদের বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে জেলা পুলিশের পোর্টালে। অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের চালু করা এই পোর্টালে অতিথিদের নাম, পরিচয়, তথ্য-সহ অন্যান্য বিষয় নথিভুক্ত করা হয়েছে।