এস জে আব্বাস, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে রাজ্যের প্রাণীসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল ২৩ তম খালবিল-চুনো মাছ-পিঠেপুলি ও প্রাণীপালন উৎসব। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, বিজ্ঞান ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী উজ্জল বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, সহ-সভাপতি গার্গী নাহা, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, শম্পা ধারা, তপন চ্যাটার্জি, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শঙ্কর মণ্ডল, জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক শান্তনু কোনার, মেহবুব মণ্ডল, আরতি খান প্রমুখ।
উদ্বোধনের পূর্বে দোলগোবিন্দপুর, বড় কোবলা, বাঁশদহবিল, চান্দের বিল, মুন্সির ঘাট ও শ্রীরামপুর এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান,”একসময় এই বিস্তীর্ণ জলাশয় দুরাবস্থায় পড়ে ছিল। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় বাঁশদহ বড় কোবলা, বিদ্যানগর আজ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। সংস্কারের পর ভাগীরথী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত এই পাঁচ কিলোমিটার জলাশয় এখন পূর্ণাঙ্গ আকার পেয়েছে।
আগামীদিনে এখানে ইকো টুরিরিজম গড়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এই বিলকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা চুনো মাছ কে ব্যাপক ভাবে ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মৎস দপ্তরের উদ্যোগে ব্রিডিং(প্রজনন)এর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই বিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের অনেকেই রুটি রুজির পথ খুঁজে পাচ্ছেন।
জেলাশাসক পুর্ণেন্দু মাঝি মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেন। তিনি পরিবেশকে মারাত্মক দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে মাঠের খড়ের নাড়া পোড়ানো বন্ধের ব্যাপারে সকলকে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দেন। এদিনের অনুষ্ঠানে জলের নাব্যতা কমে যাওয়ার সংকট, পরিবেশ বাঁচাতে খাল বিল সংরক্ষণ,লুপ্ত প্রায় প্রাণীদের টিকিয়ে রাখা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পদক্ষেপের কথা হয়।
এদিন ৫১ রকমের মাছের বিবরণ সম্বলিত ও এই উৎসবের কারণ নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারি উদ্যোগে এখানকার বিলে মাছ ছাড়া হয়। প্লাস্টিক বর্জন করে পূর্ব দিনের মতো পরিবেশ বান্ধব মাটির হাঁড়ি ও খড়ের বিরে সহযোগে দোকান থেকে দই মিষ্টান্ন পরিবেশনের উদ্যোগের কথা ভাবা হয়। উল্লেখ্য, এই উৎসব চলবে দুই দিন ধরে।