পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘সান্তাক্লজ শুধু ক্রিসমাসের সময় নয়, সারা বছরই থাকেন। অর্থের অভাবে ছোট ছোট মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হলে সান্তাক্লজ তাদের কন্যাশ্রীর কার্ড দেন। টাকার কারণে গরিব বাবারা যখন মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না, তখন তাঁদের রূপশ্রী দেন সান্তাক্লজ। অসুস্থতার সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও দেন তিনি।
বাংলায় একজন সান্তাক্লজ রয়েছেন, যিনি মানুষকে সব কিছু দিয়েছেন। বাংলার সান্তাক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের দিনে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের সান্তাক্লজকে যেন আরও অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। সুস্থ-সবল রাখেন।’ শনিবার রাতে মুচিবাজারের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এমনই ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সান্তাক্লজের সঙ্গে তুলনা করেন কলকাতার মেয়র। মুচিবাজারে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর অনিন্দ্য রাউতের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সান্তাক্লজের সঙ্গে তুলনা করেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোরপাধ্যায় ও বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকেও।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে ফিরহাদ বলেন, ‘ছোটবেলা রাত জেগে বসে থাকতাম, সান্তাক্লজ কখন উপহার দেবে! পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম চকোলেট বা উপহার রাখা। হয়তো বাবা-মা সান্তাক্লজের ভূমিকা পালন করে উপহার দিতেন। সেই সময় মনে প্রশ্ন জাগত সান্তাক্লজ কি সত্যি আসেন? এখন উপলব্ধি করি সান্তাক্লজ সত্যিই আসেন।’ আজ বুঝছি আমাদের বাংলার নেত্রী বাংলার মানুষের জন্য ‘সান্তাক্লজ’!
বড়দিন ও বাংলা নববর্ষের আবহে সম্প্রীতির বার্তা দিতেও ভোলেননি কলকাতার মেয়র। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময়ও আমরা সবাই অংশগ্রহণ করি। ঈদের নমাজ পড়ার সময়ও আমরা সবাই যাই। আমি যেমন যাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সব অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাও সব ধর্মের অনুষ্ঠানে যায়। বড়দিনও একসঙ্গে পালন কবেন। একটা কথা সবার মাথায় রাখা উচিত। ধর্ম আলাদা হলেও উৎসব সবার… !