পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গত ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গির হানার ২২ বছরের বর্ষ পূর্তির দিনে সংসদে হলুদ ধোঁয়াকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়। গতকাল সন্ধ্যায় এই কাণ্ডে মূল চক্রী ললিত ঝা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ললিতকে ভালো মেধাবী ছেলে বলে পরিচয় দিলেন তার দাদা শম্ভু ঝা। শম্ভু বড়বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কর্মরত। তবে সংসদ কাণ্ডে ভাইয়ের গ্রেফতারের পর তার বড়বাজারের কাজে যাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। শম্ভু জানান, তার ছোটভাইয়ের দিল্লি যাওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। ভাই বিজ্ঞানের স্নাতক। বাগুইআটির জ্যাংড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াতেন। এছাড়াও গৃহশিক্ষকতা করতেন।
শম্ভু জানান, ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। তবে কোনওদিন এই ধরনের কাণ্ডের ব্যাপারে ভাইয়ে যে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি সেকথা আঁচ করতে পারেনি। কেন কি কারণে ভাইয়ের নাম এই ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়ল তা নিয়েও হতাশ তিনি। শম্ভু জানান, তিনি তার স্ত্রীকে, সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকেন। ভাইয়ের গতিবিধি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। শম্ভু আরও জানান, তার ললিতের এই মুহূর্তে কোনও কাজ ছিল না। জানা গেছে, বাবা-মা-ভাইয়ে নিয়ে ললিত বাগুইআটিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সবজিও বিক্রি করেছেন তিনি।
পুলিশি তৎপরতায় রাতেই গ্রেফতার সংসদ কাণ্ডে মূল সন্দেহভাজন ললিত ঝা। যার পুরো নাম ললিত মোহন ঝা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে সে নাকি নিজেই কর্তব্য পথ থানায় আত্মসমপর্ণ করেছে। গত ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হানার বর্ষ পূর্তির দিনেই সংসদে হাঙ্গামা হয়। দুই জন ব্যক্তি ভিজিটরস সিট থেকে লাফিয়ে পড়েন। হুলুস্থুলু কাণ্ড তৈরি হয়। ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করে, তার পর একজনকে আটক করা হয়। এদের নাম হল সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী। সাগর এবং মনোরঞ্জন সংসদের ভিতরে ঢুকে স্মোক বম্ব ফাটায়। একই সময়ে সংসদের বাইরে স্মোক বম্ব ফাটায় এবং স্লোগান দিয়েছিল বাকি দুজন।