পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিসবে শপথ নিলেন ভজন লাল শর্মা। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন দুই উপ–মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারি ও প্রেমচন্দ বেইরওয়া। জয়পুরের এলবার্ট হলের জাঁকজমকপূর্ণ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল নেতা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। তিনি আবার অনুষ্ঠান মঞ্চে বসেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী গজেন্দ্র সিং শাখাওয়াতের পাশে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই রাজস্থানের মত বড় একটা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়াকে উপহার হিসেবেই দেখছেন তিনি। বসুন্ধরা রাজে, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতদের মত বহুল পরিচিত মুখ বাদ দিয়ে প্রথমবারের বিধায়ক ভজনলাল শর্মাকে কেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল বিজেপি সেই নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলছিল। সবটা বিশ্লেষণ করে, রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ভজনলালের দীর্ঘদিনের আরএসএস যোগই তাকে এই সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে।
৫৬ বছরের ভজনলাল ছাত্রাবস্থাতেই আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর আরএসএস এস সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। আর তারপরই বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। সাংগঠনিক ক্ষমতার জেরেই পরপর চারবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাহ্মণ বলেই ব্রাহ্মণ অধ্যুষিত সাঙ্গানা থেকে তাকে প্রার্থী করে বিজেপি।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাত রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ব্রাহ্মণ, দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর একজন রাজপুত অন্যজন দলিত। সব জাতিকেই সন্তুষ্ট করতে এমন মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসবে শপথ নিয়েছেন আরএসএস এর ঘরের ছেলে মোহন যাদব। শপথ নিয়েই সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে ধর্মীয় স্থানে মাইক ও খোলা বাজারে আমিষ খাবার বিক্রি বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন। আর এক আরএসএস ঘনিষ্ঠ ভজনলাল শর্মা কি করেন, তাই এখন দেখার।