পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চরমপন্থীরা বলে, হাত থাকতে মুখে কেন। নরমপন্থীদের মতে, মুখ থাকতে হাতে কেন। আর গুজরাতের সুরাতের পরেশ প্যাটেলের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া থাকতে থানায় কেন। হীরার কাজ করেন পরেশ। সম্প্রতি পার্কিং থেকে তার বাইক চুরি হয়ে যায়। মাথা খাটিয়ে নরমপন্থা বেছে নেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ স্পষ্ট দেখিয়েছিল, চোর তার বাইক চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু থানায় যাননি পরেশ। তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, চোর যেই হোক সে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতেই চোরের জন্য আবেগঘন বার্তা দেন পরেশ। তিনি লেখেন, ‘জনাব চোর, আমার মনে হয়, আমার থেকে বেশি আপনার ওই মোটরসাইকেলটির প্রয়োজন ছিল। আমার একটা সাইকেল আছে, আমি না হয় তাতেই কাজ চালিয়ে নেব। আপনি যেখান থেকে আমার মোটরসাইকেলটা চুরি করেছিলেন, আমি সেখানেই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র, আর সি বুক আর চাবি রেখে দেব। আপনি দয়া করে সেটা সংগ্রহ করে নিন।’
ব্যস! এতেই কেল্লাফতে। ওই পোস্টটি হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ওই পোস্ট বাইক চোরের কাছেও পৌঁছে যায়। বিবেকে আঘাত লাগায়, চোর যথারীতি যেখান থেকে বাইক চুরি করেছিল, সেখানেই ফিরিয়ে দিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, চুরি করার সময় বাইকের যে ক্ষতি হয়েছিল, সেটাও মেরামতি করিয়ে দিয়েছে অপরাধী। হারিয়ে যাওয়া বাইক ফিরে পেয়ে খুশি পরেশ। সহানুভূতি ও ক্ষমা দিয়ে একজন অপরাধীরও মন গলানো যায়, তা আবারও প্রমান করলেন পরেশ প্যাটেল।