পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে অভিযুক্তরা কি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, তা এখন তদন্তসাপেক্ষ্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই দিনটিকেই তারা বেছে নিলেন কেনো? আর সংসদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাদের এই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে লাভ কি হল? আপাতত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল চক্রী হিসেবে যার নাম উঠে এল সেই ললিত মোহন ঝা-ও এখন পুলিশের হেফাজতে। তদন্তে প্রশ্ন উঠে আসছে, এদের কি আরও বড় পরিকল্পনা ছিল? এর পিছনে কি কোনও নাশকতা মূলক অভিসন্ধি ছিল? এই সমস্ত প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলছে পুলিশকে। এই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে নীলাক্ষ আইচ বলে এক কলেজ পড়ুয়া। কলকাতার বাসিন্দা হলেও নীলাক্ষ আদতে হালিশহরের বাসিন্দা। এই নীলাক্ষ একটি এনজিও চালায়। যে এনজিওতে জেনারেল সেক্রেটারি পদে বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন এই ললিত ঝা। পুলিশের আগেই দাবি ছিল এটি একটু সুপরিকল্পিত ঘটনা। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এমনই বলেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্তদের মূল লক্ষ্য ছিল আতঙ্ক সৃষ্টি।
এনআইএ-র মামলাগুলি দেখার জন্য নিযুক্ত বিশেষ বিচারক হরদীপ কওরের সামনে পেশ করা হয় সাগর শর্মা, ডি মনোরঞ্জন, নীলম দেবী এবং অমল শিন্ডে-কে। পুলিশ তাদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। তবে, বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চারজনের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ, অর্থাৎ, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে।
আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, সংসদের ভিতরে যারা প্রবেশ করেছিল, তাদের হাতে অর্থাৎ সাগর ও মনোরঞ্জনের হাতে ছিল প্যাম্ফলেট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেগুলি দিতে চেয়েছিল তারা। সংসদে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেই সময় মধ্য প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন। কী লেখা ছিল সেই প্যাম্ফলেটে? প্যাম্ফলেটে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নিখোঁজ’ বলে দাবি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কেউ তাঁকে খুঁজে দিতে পারলে, তাকে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে নগদ পুরষ্কার দেওয়া হবে।
তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, লখনউ থেকে তারা বিশেষ জুতো বানিয়েছিল। ওই জুতোর মধ্যে ফাঁক ছিল। যার মধ্যে ধোঁয়ার ক্যানিস্টারগুলি লুকিয়ে নিয়ে তারা সংসদে প্রবেশ করেছিল। অভিযুক্তদের লখনউ, মুম্বই এবং মহিশূরে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মতে, এই হামলায় সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট।