ইনামুল হক, বসিরহাট: একেই বলে গুলি-গোল্লা! রসগোল্লা খেতে গিয়ে চললো গুলি। নামেই নলেন? এভাবেই লোক ঠকানো। চললো বচসা বিক্রেতার সঙ্গে। প্রথমে মারধর। পরে পরপর গুলি।রবিবার রাতে বসিরহাটের জনবহুল কলেজপাড়া এলাকার এক প্রখ্যাত মিষ্টির দোকানের ঘটনায় একজন ক্রেতা জখমও হন। তাঁকে ভর্তি করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।
দোকানদার তাপস মণ্ডল জানান, নলেন গুড়ের রসগোল্লা মনমতো না হওয়ায় প্রথমে গালমন্দ করে, আমাকে মারধোর করে। কর্মচারী বাধা দিতে এলে তাকেও মারা হয়। আমার স্ত্রী কন্যাকেও মারতে গেলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার কলেজ পাড়ায় টাকি রোডের পাশে তাপস মণ্ডলের মিষ্টির দোকান। রবিবার রাত আটটা নাগাদ ওই মিষ্টির দোকানে বেশ কয়েকজন যুবক মিষ্টি খেতে আসে। এতো, নলেনগুড়ের রসগোল্লা নয়! এই অভিযোগে তুলে মিষ্টি ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করে। এই নিয়ে ব্যবসায়ী ও যুবকদের মধ্যে গণ্ডগোল চরমে ওঠে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি মোটরসাইকেলে এসে দোকানের সামনে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় ওই দোকান থেকে এক ক্রেতা মিষ্টি কিনছিলেন। বছর ৪৫ এর নবীন কুমার দাস নামে ওই ব্যক্তির বাঁদিকের কোমরে ও পায়ে গুলি লাগে বলে জানা যায়।এরপর দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে চম্পট দেয়। জখম নবীন কুমার দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতা আরজি করে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজপাড়া এলাকায়। যে যার মত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে এলাকা থেকে চলে যায়। ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনার দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
এর জেরে ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। গুলিবিদ্ধ নবীন কুমার দাস এখনো আরজি করে ভর্তি। তার কোমর থেকে গুলি বের করলেও সংকট কাটেনি ।এই ঘটনায় বসিরহাটের রাজিব কলোনি থেকে দুজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।পুলিশ তদন্তের স্বার্থে
তাদের নাম জানাতে চাইছে না। ঘটনায় সোমবার দিনভরও থমথমে ছিল বসিরহাট কলেজ পাড়া।