পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউরোপের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম উঠেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের। আমেরিকার নিউজ ওয়েবসাইট পলিটিকো ইউরোপের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় এরদোগানকে পঞ্চম স্থানে রেখে পলিটিকো বলেছে, কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তি স্বাক্ষরে ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ‘মধ্যস্থতাকারীর’ ভূমিকা পালন করেছেন এরদোগান।
২০২৪ সালে ইউরোপের সবচেয়ে প্রভাবশালীদের নিয়ে তৈরি এই তালিকায় তিনটি বিভাগে ২৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে পলিটিকো। এই তিন বিভাগ হল, ‘ডুয়ার্স’ বা যারা কাজ করেন, ‘ডিসরাপ্টার্স’ বা কোনও কিছুতে যারা বিঘ্ন ঘটান ও ‘ড্রিমার্স’ বা যারা স্বপ্ন দেখে থাকেন। এরদোগান ‘ডুয়ার্স’ ক্যাটাগরিতে তালিকায় পঞ্চম স্থান পেয়েছেন।
পলিটিকো বলছে, এরদোগান বহু দিনের চেষ্টায় নিজেকে একজন শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসাবে মেলে ধরেছেন। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর ইসরাইল-ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন-রাশিয়ার মতো প্রধান দু’টি ভূ-রাজনৈতিক সংকটে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছেন তুরস্কের নেতা।
পলিটিকো জানায়, ‘এরদোগান হলেন সেই কয়েকজনের মধ্যে একজন যিনি ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, এমনকি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের অফিসেও তার চ্যানেল রয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে অভিযান শুরুর পর মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে এরদোগানকে।’ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে এরদোগানের মধ্যস্থতার প্রশংসা করে পলিটিকো জানায়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি স্বাক্ষরে বিশেষ ভূমিকা ছিল তাঁর যার ফলে ইউক্রেন তার বন্দর থেকে শস্য রফতানি শুরু করতে পেরেছিল।’ সেই চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরও চুক্তির নবায়নে চেষ্টা করেছেন এরদোগন। সেই চুক্তি বিশ্বে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করেছিল। এরই পাশাপাশি ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকট সমাধানে এরদোগানের যাবতীয় প্রচেষ্টার কথাও বলেছে পলিটিকো। কারণ, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এরদোগান ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি মিশর, লেবানিন ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।