উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: অবশেষে বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলুয়াখাকি গ্রামের মানুষের হাতে পৌঁছালো ত্রাণ ও পড়াশোনার সামগ্রী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মঙ্গলবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাকি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তিন দিন আগে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল জয়নগর এর দলুয়াখাকির গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দিতে গিয়ে পুলিশে বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়ে পিছু হটতে হয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। এরপর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর এদিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল হাজির হয় জয়নগরের। গ্রামে না ঢুকে জয়নগরের দক্ষিণ বারাশত বাজার মোড়ে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের নিয়ে আসে এবং তাদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রি তুলে দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জয়নগরের দক্ষিণ বারাশত মোড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশি উপস্থিতিতে গ্রামবাসীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও গ্রামবাসীদের শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় বই খাতা তুলে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের হাতে।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়,জেলা কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত দাস,সুজিত পাটোয়ারী, প্রশান্ত সরখেল, দুলাল ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকে।
গ্রামবাসীদের হাতে ত্রাণ সামগ্রিক তুলে দেওয়ার পর এদিন কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় জানান, ৫০০০ টাকা প্রতি খাবার-দাবারের পিছনে খরচা করে বিশ্ব বানিজ্য সাবমিট করছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাণিজ্য নামে কাঁচকলা করছে। এখানে মানুষ অভুক্ত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোন হেলদোল নেই। আমরা এখানে রাজনীতি করতে আসিনি মানুষের পাশে থাকতে এসেছি। মানুষের সাহায্যের জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা এখানে ত্রাণ সামগ্রিক নিয়ে এসেছি। আমরা গ্রামে ঢুকিনি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে এখানেই ডেকে তাদের হাতেই ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছি পুলিশ প্রশাসনের তদারকিতে। গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে যায় সেই দিকে বিশেষ ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন।
অন্যদিকে, এদিন জয়নগরের বামুনগাছির দলুয়াখাকির অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের ছেলে মেয়েদের হাতে বই, খাতা, পেন ও পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দিয়ে আসা হয় SFI এর পক্ষ থেকে। এদিন পুলিশ ৫ জনের গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে। আর সেই মতো এদিন SFI নেতা সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমানেরা দলুয়াখাকি গ্রামে গিয়ে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দিয়ে আসে।